kingessays reviewskingessays reviewsবিগত ২৪-২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ খ্রীষ্টাব্দ, রহনপুর ধর্মপল্লীর আওতাধীন বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১৬৭ জন খ্রীষ্টান এবং অখ্রীষ্টান উরাঁও প্রতিনিধিদের নিয়ে ধর্মপল্লী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হলো ১৩তম উরাঁও সম্মেলন-২০১৮খ্রী.। এবারের ১৩তম উরাঁও সম্মেলনের মূলসুর হিসাবে বেঁছে নেওয়া হলো “উরাঁও জাতি-গোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতি, শিক্ষা, সামাজিক অবস্থা ও বর্তমান বাস্তবতা”। এ উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪:০০ টা থেকে ৬:০০ টা পর্যন্ত আগমন ও রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। সন্ধ্যা ৬:৩০ মি. মিশন হলরুমে সম্মেলনের সার্বিক মঙ্গলকামনায় সার্বজনীন প্রার্থনা করা হয়। রাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও পরিচিতি পর্বের পরে সকলের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহনে উরাঁওদের ঐতিহ্যবাহী ঝুমুর ও কারাম নাচ করা হয়। পরের দিন ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৬:০০ টায় উরাঁও সাদ্রী ভাষায় ও গানের মধ্যদিয়ে উরাঁও কৃষ্টি ও ভাবধারায় পবিত্র খ্রীষ্টযাগ করা হয়। খ্রীষ্টযাগে পৌরহিত্য করে রহনপুর ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার প্রশান্ত থিওটোনিয়াস আইন্দ ও খ্রীষ্টযাগে উপদেশ সহভাগিতা করেন শ্রদ্ধেয় পাল-পুরোহিত ফাদার বাবলু কর্ণেলিউস কোড়াইয়া। সকালে অধিবেশনের শুরুতে উরাঁও পতাকা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। উরাঁও জাতি গোষ্ঠীর কৃষ্টি-সংস্কৃতির উপর উপস্থাপনা করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের গুল্টা ধর্মপল্লী থেকে আগত শ্রদ্ধেয় মাষ্টার ধীরেন কেরকেটা এবং উরাঁও জাতি গোষ্ঠীর শিক্ষা, সামাজিক অবস্থা, বর্তমান বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায় সম্বন্ধে উপস্থাপনা করেন মি. দীপক এক্কা (আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, আলোঘর প্রকল্প, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চল)। তাদের প্রাণবন্ত ও জ্ঞানগর্ভ সহভাগিতায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকলেই বিশেষভাবে আলোকিত হন ও তাদের জীবনে নতুন চেতনা লাভ করেন যা তাদেরকে নিজ কৃষ্টি-সংস্কৃতির গভীরে যেতে ও জীবন পরিবর্তন করতে সহায়ক হবে বলে অনেকেই মতামত ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে বিভিন্ন বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। মধ্যাহ্ন ভোজের পরে বিকালে উরাঁওদের কৃষ্টির আবহে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। অত:পর পাল-পুরোহিত ফাদার বাবলু কর্ণেলিউস কোড়াইয়ার সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে ১৩তম উরাঁও সম্মেলনের সমাপনী টানা হয়।

Please follow and like us: