খ্রিস্টীয় কৃষ্টি অনুসারে আমাদের উৎপাদিত ও পালিত প্রথম সবজি, ফসল এবং পশু-পাখি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করি। এরচেয়ে মহত্তম হচ্ছে- যখন আমরা, আমাদের সন্তানদেরকে ঈশ্বরের কাজ করার জন্য নিবেদিত জীবনে নিবেদন করে থাকি; এমনটিই  বলেছেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও, ডিডি সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর প্রতিপালকের পর্বদিন ও হস্তার্পণ সংস্কার খ্রিস্টযাগের উপদেশে।

করোনা মহামারী পরিস্থিতিতেই সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি পালন করে গত ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিস্টাব্দ রোজ মঙ্গলবার যিশুর মন্দিরে নিবেদন পর্ব ও ১৩৯ ছেলে-মেয়েকে হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান করা হয়। সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর প্রত্যেকটি গ্রাম থেকে হস্তার্পণ সংস্কার প্রার্থীগণ দুই দিন যাবৎ ধর্মপল্লীতে অবস্থান করে সকল প্রকার প্রস্তুতি ক্লাসে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও পর্বীয় উৎসবের জন্য খ্রিস্টভক্তগণ নয় দিনের নভেনায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের আধ্যাত্মিকভাবে প্রস্তুত করে তোলে। পর্বের আগের দিন বিকালবেলা হস্তার্পণ প্রার্থীদের জন্য পাপস্বীকার সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। পর্বীয় দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে খ্রিস্টভক্তগণ ধর্মপল্লীতে আসতে থাকেন। বিশপ জের্ভাস রোজারিও ধর্মপল্লী প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হলে সাঁন্তালী কৃষ্টি-সংস্কৃতি দাড়াম নৃত্য সহযোগে বিশপকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকাল ৯:৩০ মিনিটে শুরু হয় পর্বীয় খ্রিস্টযাগ। খ্রিস্টযাগে ৮ জন যাজক, ব্রাদার, সিস্টার ও প্রায় ৮০০ খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন। খ্রিস্টযাগের পর ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা সবাইকে পর্বীয় খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ এবং নানাবিধ সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান। এরপর খ্রিস্টভক্তদের পক্ষ থেকে সাঁন্তালী কৃষ্টি দান-সামাঙ প্রদান করা হয় বিশপ মহোদয়কে।

সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর শিমলা গ্রামের হস্তার্পণ গ্রহণকারী প্রার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলে, ধর্মপল্লীর পর্বদিনে আমরা হস্তার্পণ সংস্কার গ্রহণ করায় অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। হস্তার্পণ সংস্কারের মর্যাদা আমাদের প্রত্যেকের ধরে রাখা প্রয়োজন।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: ফাদার সাগর কোড়াইয়া

Please follow and like us: