গত ২১-২২ এপ্রিল ২০২২ খ্রিস্টাব্দ মারীয়াবাদ ধর্মপল্লী বোর্ণী গ্রামের কৃতি সন্তান শ্রদ্ধেয় ফা: দিলীপ এস কস্তা’র যাজকীয় জীবনের রজত জয়ন্তী উৎসব উদযাপন করেন তার নিজ পিতৃগৃহে। এতে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিওসহ ৩৫ জন যাজক, বেশ কিছু সংখ্যক সিস্টার ও প্রায় ৬০০শ মত খ্রিস্টভক্ত ও আত্মীয়স্বজন অংশগ্রহণ করেন। জুবিলী উদযাপনের আগের দিন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিস্বরূপ তার নিজ পিত্রালয়ে মঙ্গলানুষ্ঠান এবং পরে তাকে ঘিরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২২ এপ্রিল রজত জয়ন্তী উৎসবে পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন জুবিলী উদযাপনকারী ফা: দিলীপ স্টেফান কস্তা এবং খ্রিস্টযাগে উপদেশ দেন তার সতীর্থ ফা: খোকন ভিনসেন্ট। তাছাড়াও তার সহার্পিত খ্রিস্টযাগে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও, এ বছরে যারা যাজকীয় জীবনের রজত জুবিলী উদযাপন করছেন তাদের মধ্যে ০৫ জন সতীর্থ ফাদার ও ধর্মপ্রদেশে কর্মরত বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে আগত ফাদারগণ।

ফা: দিলীপ এস কস্তা তার রজত জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের সহভাগিতায় বলেন- ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই কেননা, তিনি আজকে এই যাজকীয় জীবনের ২৫টি বছর অতিক্রম করার ঐশ অনুগ্রহ ও কৃপা দান করেছেন এবং সেই সাথে রজত জয়ন্তী উৎসব পালনের সুযোগও দিয়েছেন। আমার যাজকীয় জীবনের পঁচিশটি বছর সময়ের ধারাপাতে অতিবাহিত হয়েছে। মনে হচ্ছে-সেদিন মাত্র যাজকীয় অভিষেক লাভ করেছি। এই পঁচিশটি বছরে সুখ-দু:খ উভয় অভিজ্ঞতাই লাভ করেছি। পঁচিশ বছর পরে আমার আত্মোপলব্ধি হচ্ছে-আমার এই যাজকীয় জীবনে আমি সুখি ও আনন্দিত। আজ মায়ের কথা মনে পড়ছে খুব। মা ও ভাই-বোনেরা সব সময় বলতেন, তোমার যাকজীয় জীবনে যেন কোন প্রকার স্খলন না ঘটে। পঁচিশ বছর পরে আমি মনে করি, প্রত্যেক জন যাজকেরই নিজের পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখা দরকার। একজন যাজকের অবশ্যই মানুষের প্রতি ভালবাসা থাকতে হবে।

ফা: খোকন ভিনসেন্ট খ্রিস্টযাগের উপদেশে বলেন- শ্রদ্ধাভাজন এবং স্নেহভাজন প্রিয়জনেরা, শ্রদ্ধেয় ফা: দিলীপ আজ তার যাজকীয় জীবনের জুবিলী পালন করতে গিয়ে আমাদের সকলের সাক্ষাতে উচ্চ কণ্ঠে বলছেন, ‘আমার জন্য ভগবানের কাজ কতই না বিচিত্র কতই না অপূর্ব।’ আজ জুবিলী উৎসব পালনকারী শ্রদ্ধেয় ফা: দিলীপ স্টেফান কস্তা, তার সতীর্থ সহপাঠী যাজকবৃন্দ যারা এখানে উপস্থিত, যারা জুবিলী বর্ষে আছি, আগে পরে পালন করছি, করব, তাদের সকলকে আমি উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। যারা এখানে অনুপস্থিত তাদেরকে বিশেষভাবে স্মরণ করি এবং তাদেরকে ও আমাদের সাথে রাখি ধন্যবাদ প্রশংসা জ্ঞাপনে এবং মঙ্গল কামনায়। প্রিয়জনেরা, যে কোন যাজকীয় অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি গানে নব অভিষিক্ত যাজকের উদ্দেশ্যে আমরা বলি- “অভিষিক্ত তুমি চিরকালীন যাজক, হস্ত তোমার পুণ্যময় তুমি প্রভুর যাজক।” ফা: দিলীপ একজন চিরকালীন যাজক। পরম করুণাময় তার অসীম ভালবাসায় ফা: দিলীপকে আহুত, মনোনীত ও অভিষিক্ত করেছেন তার দ্রাক্ষাক্ষেত্রের একজন মজুররূপে এবং বিগত ২৫টি বছর ঈশ্বর তাকে সুরক্ষা করেছেন। পরিচালনা করেছেন। শক্তি-অনুগ্রহ দিয়েছেন। সার্থক, সুন্দর ও বিশুদ্ধভাবে যাজকীয় জীবন যাপনের জন্য। তাই, আমরাও ফাদারে সাথে একাত্ম হয়ে ঈশ্বরকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা। খ্রিস্টমণ্ডলিতে সাক্রামেন্তীয় যাজকত্ব অত্যন্ত সুন্দর ও মহামূল্যবান ঐশদান। এই যাজকত্ব কোন মূল্য দিয়ে কেনা যায় না। এটি অর্জনও করা যায় না। এই যাজকত্ব ঈশ্বরের উদার দান, অসীম প্রেমের দান। তাই তো, সাধু জন মেরী ভিয়েন্নী বলেন- যাজকত্ব যিশু হৃদয়ের ভালবাসা। সকল যাজক যিশু হৃদয়ের ভালবাসায় আশ্রয় প্রাপ্ত আমরা। যাজকত্ব এই জগতের সর্বোচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন পদ। একজন যাজকের মর্যাদা জাগতিক অন্য যেকোন উচ্চপদের মর্যাদার চাইতেও বেশী। কেননা, তিনি ঈশ্বরের প্রতিনিধি, খ্রিস্টের প্রতিনিধি। একজন যাজক হলেন অপর খ্রিস্ট। একজন যাজকের মর্যাদা জগতের রাজা-বাদশা- সম্রাটের মর্যাদাকেও অতিক্রম করে। এমনকি স্বর্গদূতদের চেয়েও বেশী মর্যাদা সম্পন্ন একজন যাজক। কোন স্বর্গদূত খ্রিস্টযাগ অর্পণ করতে পারেন না। পারেন না পাপের ক্ষমা দিতে। একজন যাজক খ্রিস্টের হয়ে কাজ করেন। তাই, যাজকের প্রতি আমরা যে ভক্তি সম্মান প্রদর্শন করি তা খ্রিস্টেরই প্রতি করি। আসিসির সাধু ফ্রান্সিস বলেছেন যে, তিনি যদি একই সঙ্গে একজন স্বর্গদূত ও একজন যাজকের সাক্ষাৎ পান। তিনি প্রথমে যাজককে তার ভক্তি প্রণাম জানাবেন তারপর স্বর্গদূতকে। যাজকীয় অভিষেকের গুণে ফা: দিলীপকে যিশু তার নিজের কাজ করার দায়িত্ব ও অধিকার দিয়েছেন। ফা: দিলীপ এ যাবত যখন যিশুর জন্য কাজ করেছেন তখন আর দিলীপ হিসেবে তার সেবাকাজ করেন নি বরং যিশু হয়ে অপর খ্রিস্ট হয়ে যিশুর সেবাকাজ করেছেন। যাজকীয় অভিষেকের গুণে ফা: দিলীপ এমনই এক মহান অধিকার ও দুর্লভ কাজ করার শক্তি লাভ করেছেন। এমন অনন্য মর্যাদা সম্পন্ন দায়িত্ব ও অধিকার লাভ করার পর সুদীর্ঘ ২৫টি বছর অত্যন্ত বিশ্বস্তভাবে যাজকীয় জীবন যাপন ও সার্থক সুন্দর নানা সেবাকাজ করে আজ ফা: দিলীপ কুমারী মারীয়ার মত গর্বিত ও গভীরভাবে উল্লসিত। তবে এই গর্ব এই উল্লাস অহংকারের নয় বরং গভীর কৃতজ্ঞতার।

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও ফা: দিলীপ স্টেফান কস্তা’র রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন- সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন- আজকের এই দিনের আনন্দ আপনাদের সঙ্গে সহভাগিতা করি। আমি ধর্মপ্রদেশের বিশপ হিসেবে ফা: দিলীপ কে আমাদের ধর্মপ্রদেশের নামে আমাদের সকল যাজকদের নামে, ধর্মব্রতী-ধর্মব্রতীনী ও খ্রিস্টভক্তদের নামে এবং আমার নামে আমি ফা: দিলীপকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের ধর্মপ্রদেশের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকে আমিও তার স্বর্গীয় পিতা-মাতাকে স্মরণ করি। তাদের আত্মার কল্যাণ কামনা করে প্রার্থনা করি। তার যেসমস্ত আত্মীয়-স্বজন পরিবারের সদস্যগণ রয়েছে তাদেরকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন- আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি; ফা: দিলীপ আমাদের ধর্মপ্রদেশের জন্য যথা আমাদের খ্রিস্টমণ্ডলির জন্য একটি বিশেষ উপহার যা ঈশ্বর আমাদের দিয়েছেন। ফা: দিলীপ আমাদের কাছে ধর্মপ্রদেশের জন্য শুধু নয়; গোটা খ্রিস্টমণ্ডলির জন্য ঈশ্বরের এক ভালবাসাময় উপহার। যাজকবরণ সংস্কারের মধ্যদিয়ে ফা: দিলীপ খ্রিস্টের যাজকত্বে অভিষিক্ত হয়েছেন। সে যাজকত্বের গুণেই তিনি প্রেরিত হয়েছেন প্রতিটি মানুষের কাছে ঐশ বাণী প্রচার করতে। তাই, যিশু যে ভালবাসায় এ জগতকে ভালবেসেছেন, সেই যিশুর স্থানে থেকে এবং যিশুরই শিষ্য হয়ে ফা: দিলীপ সেই ভালবাসায় জগতকে ভালবাসবে; যে ভালবাসা যিশু তার ক্রুশ যাতনায়, ক্রুশ বহনে এবং ক্রুশমৃত্যুবরণে প্রকাশ করেছেন।

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল শ্রদ্ধেয় ফাদার ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও রজত জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে প্রত্যেককে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন- ফা: দিলীপ যাজক হিসেবে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ তথা বাংলাদেশ মণ্ডলিতে অনেক অনেক অবদান রেখে যাচ্ছেন। অনেক গুণে গুণান্নীত এই মানুষ। আমরা জানি, যে কলসি ভরা থাকে, সে কলসি নড়ে না। ফা: দিলীপ ভরা একটি কলসি। ফা: দিলীপ এই ২৫ বছরে অনেক বড় হয়েছেন। অনেক নত হয়েছেন। চিন্তনে, মননে, জ্ঞানে, ধ্যানে ও প্রজ্ঞায়। আর তার লেখায়, কবিতায়, ছন্দে ও উপন্যাসের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে সঙ্গীতে সে সমস্ত কিছুই তুলে ধরা হয়েছে। একজন মানুষ ঈশ্বরের দেওয়া জ্ঞান ভান্ডার থেকেই মণ্ডলিকে উপহার দিতে পারে। সেবাকাজ ও লেখনী এই দু’য়ের মধ্যদিয়েই মণ্ডলিকে সেবা করা যায়। যেই সেবা আমরা হাতে তাৎক্ষণিকভাবে পাই সেটা হয়তো আমরা ভুলে যাব। কিন্তু, যে সেবা অন্তরের মননশীলতা থেকে আসে জ্ঞান ভান্ডার থেকে আসে যেটা প্রকাশিত হয় লেখনীর মাধ্যমে সেটা থেকে যাবে যুগের পর যুগ। মানুষ তা পড়ে উপকৃত হবে আর জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে বিশ্বাস, ধর্মতত্ত্ব , মণ্ডলিতত্ত্ব এই সম্পর্কে জানতে পারবে । আজকে আমরা ফাদারের জীবনে আছি এবং ফাদার আমাদের প্রত্যেকের জীবনে আছেন; একের হৃদয়ে অন্যের উপস্থিতি নিয়ে এই আনন্দ নিয়ে আমরা শক্তিশালী হতে চাই এবং একে অন্যের জীবনকে ঘিরে আনন্দ করতে চাই আর সেটাই হল জুবিলী।

রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে বোর্ণী ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফা: সুশান্ত খ্রীষ্টফার কস্তা তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- আমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান এই জন্য যে, আমরা আমাদের যাজকীয় জীবনের ২৫ বছর অতিবাহিত করার সুযোগ পেয়েছি। আর এটার পেছনে হল ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও আশীর্বাদ। ফা: দিলীপ কস্তা’র জন্য আমরা সত্যিই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই। কেননা, ঈশ্বর অনুগ্রহ করে ফা: দিলীপকে এ জগতে পাঠিয়েছেন এবং তার কাজের জন্যে একজন যাজক হিসেবে অভিষিক্ত করেছেন। আর সেই সাথে আজ আমরা একটি বড় দায়িত্ব গ্রহণ করি। সেটি হল আজ থেকে আমরা ফা: দিলীপের জন্য ও অন্যান্য সকল ফাদারদের জন্য প্রার্থনা করব। আর সেই প্রার্থনাটি হল আমাদের বড় কাজ। আর অন্যান্য আনুসাঙ্গিক বিষয় অবশ্যই সেটাও সহায়তা করে। তাই, আপনারা যারা এখানে উপস্থিত আছেন আমরা অবশ্যই এ কাজটি করব। ফা: দিলীপ কস্তাকে আমাদের ধর্মপল্লীর পক্ষ থেকে আন্তরিক উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করি। একই সঙ্গে পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কেননা, আপনাদের পরিবারের সন্তানকে মণ্ডলিতে দান করেছেন।

রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধেয় ফা: প্যাট্রিক গমেজ তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- গঠনদাতা প্রথম হলো পরিবার। আর পরিবার থেকে যখন সুন্দর গঠন পায় বৈরাগ্য সাধনের যখন গঠন পায় তখনই কিন্তু সেই ব্যক্তি ধীরে ধীরে সেই ভাবে বেড়ে ওঠে। ফা: দিলীপকে আমি সেই স্কুল জীবন থেকেই দেখেছি। যথেষ্ঠ ভক্তিপ্রাণ, বেশি কথা বলেনা; এবং যথেষ্ঠ আধ্যাত্মিক, তাঁকে বেশি কারেকশন দিতে হয় নাই চ্যাপেলে। ধর্মাময়তা, আধ্যাত্মিকতা যা ইতিমধ্যে পরিবার থেকেই নিয়ে গেছে সেমিনারীতে। ফা: দিলীপ সত্যিকারভাবেই একজন সৎ মানুষ। আমরা আজকে সত্যিই আনন্দিত ঈশ্বরের প্রশংসা ও মহিমা কীর্তন করছি আমাদের অতি স্নেহের বোর্ণীর কৃতি সন্তান ফা: দিলীপ স্টেফান কস্তা’র জন্যে এবং প্রার্থনা করি যেন সুস্থ্য থেকে এমনি ভাবেই যেন তিনি তার সেবাদায়িত্ব পালন করে যেতে পারে যেন ৫০ বছরের জুবিলী আমরা পালন করতে পারি।

ফা: দিলীপ স্টেফান কস্তা’র ছোট বোন দিপালী কস্তা তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- আজকের এই দিনে আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই আপনাদের মাধ্যমে, আমাদের পরিবারের মাধ্যমে এই সুন্দর দিনে আমরা উপনীত হয়েছি। আমাদের ভাই যিনি ২৫ বছর আগে যেই ব্রতধারণ করেছিলেন সেই যাজকীয় জীবনের ২৫ বছরের জুবিলীক্ষণে আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনগুলো যেন আপনাদের প্রার্থনায় তার যাজকত্ব জীবনে একজন আলোর মানুষ হয়ে এই খ্রিস্টীয়সমাজে এগিয়ে যেতে পারে। সেজন্য আপনারা ফাদারের জন্য অবশ্যই প্রার্থনা করবেন।

দিনাজপুর কারিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক মি: রঞ্জন রোজারিও ফা: দিলীপ এস.কস্তা’র রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তার অভিব্যক্তি তুলে ধরেন ঠিক এভাবে- আজকের এই মহতি অনুষ্ঠানে সকলকে জানাই শুভেচ্ছা এবং ফা: দিলীপের জন্য ঈশ্বরকে জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা যেন মণ্ডলিতে নি:স্ক্রীয়ভাবে না থাকি বরং ফাদার-সিস্টারদের জন্য প্রতিদিন প্রার্থনা করি এবং শুভ ও মঙ্গল কামনা করি।

রাজশাহী কারিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক মি: সুক্লেশ জর্জ কস্তা তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন- কারিতাস বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলের ৫ শতাধিক কর্মী বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধেয় ফাদারকে জুবিলী অনুষ্ঠানে জুবিলী উপলক্ষে অনেক অনেক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করি। ফা: দিলীপ কখনো খুব শক্ত কখনো খুব নরম কখনো খুব তেতো কখনো খুব মিষ্টি। অর্থাৎ যখন যেখানে যেরকম দরকার ঠিক সেরকমই এক মানুষ। ছোট-বেলায় বাবা-মাকে দেখেছি তারা কখনো ফাদার-সিস্টারদের সম্বন্ধে নেতিবাচক কথা বলতেন না। তাই, সকল খ্রিস্টভক্তদের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ- ফাদার-সিস্টারাও রক্ত-মাংসের মানুষ। তারাও ভুল করতে পারে। তারাও আমাদের মতো মানুষ। তারা অন্য কেউ নয়। তাই, দয়া করে আপনাদের কোমলমতি সন্তানদের সামনে তাদের সম্বন্ধে কোন নেতিবাচক আলোচনা করবেন না। যাতে তাদের মধ্যে যে ঐশ আহ্বান আছে তা যেন শৈশবেই শেষ হয়ে না যায়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার

Please follow and like us: