প্রথম খ্রিস্টপ্রসাদ প্রদান

গত ১৮-১৯ ই জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর অন্তর্গত ঝলঝলিয়া গ্রামে প্রথম খ্রিস্টপ্রসাদ প্রদান করা হয়। এতে ধর্মপল্লীর ১২ টি গ্রাম থেকে ৯৫ জন ছেলে মেয়ে অংশগ্রহণ করেন। আর এই খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্য করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার সুব্রত টি. কস্তা, সাথে ছিলেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফা. প্রদীপ কস্তা। ফাদার কস্তা তার সহভাগিতায় খুব সুন্দর ভাবে বলেন যে, যিশুর দেহ ও রক্ত আমাদের নব জীবন দান করেন। আমরা যেন যিশুর দেহ ও রক্তের পবিত্রতা রক্ষা করি। খ্রিস্টযাগ শেষে ফাদারদ্বয় সকলকে কার্ড ও ক্রুশ প্রদান করেন। শেষে ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফা. প্রদীপ কস্তা সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ও সকলকে জলপান করার জন্য অনুরোধ জানান এবং প্রার্থীদের মধ্যাহ্নভোজের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

সুরশুনিপাড়াতে আহ্বান দিবস উদযাপন

গত ২৩-২৪ শে জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ প্রভু নিবেদন ধর্মপল্লী সুরশুনিপাড়াতে আহ্বান দিবস উৎযাপন করা হয়। আর এই আহ্বান দিবসের মূলভাব ছিল, সিনোডাল মণ্ডলি গঠনে আমরা। আর এই মূলভাবের উপর সহভাগিতা করেন শ্রদ্ধেয় ফা. প্রেমু রোজারিও, সহভাগিতায় ফাদার বলেন, আমাদের আহ্বান জীবনে মিলন সমাজ গড়ার, সবকিছুতে অংশগ্রহণ করার ও প্রেরিত হওয়ার সুন্দর মন থাকতে হবে। আর আমাদের যখন সৎ ইচ্ছো, সৎ আকাক্ষা, সৎ উদ্দেশ্য থাকে তখনই আমরা আমাদের আহ্বান জীবনে দৃঢ়তার সঙ্গে পথ চলতে পারব। যতই আমাদের প্রলোভন আসুক না কেন আমরা কখনই পিছু পা হবো না। ফাদারের সাথে ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের আহ্বান পরিচালক ফা. লিপন রোজারিও, পাল-পুরোহিত ফা. প্রদীপ কস্তা, সহকারী পাল-পুরোহিত ফা.লিটন কস্তা, সিস্টার বিজিতা এসএমআরএ, সিস্টার পাপিয়া এস.সি। ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৭৫ জন ছেলে-মেয়ে উপস্থিত ছিল।

মাঞ্জি মিটিং

গত ২৫ জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দ সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে মাঞ্জি, গ্রাম প্রধান ও প্রার্থনা পরিচালকদের নিয়ে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। আর এই মিটিং এর মূলসুর ছিল: সিনোডাল মণ্ডলি গঠনে আমরা। পাল-পুরোহিত খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেয় কি ভাবে আমরা সহযাএি মণ্ডলিতে মিলন, অংশগ্রহণ, প্রেরিত হয়ে কাজ করব ও পথ চলব। বিভিন্ন গ্রাম থেকে মোট ১২০ জন মিটিং-এ অংশগ্রহণ করেন। সকাল ৭.৩০ টায় রেজিস্ট্রেশন ও সকালের নাস্তা করেন। সকাল ৯টায় প্রার্থনা, গান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করার মধ্য দিয়ে মিটিং শুরু হয়। তারপর গির্জা মাস্টার ,মাঞ্জি  ও গ্রাম প্রধানদের দায়িত্ব কর্তব্য সর্ম্পকে আলোচনা করা হয়। আর এই আলোচনায় গ্রামে বিভিন্ন প্রকার সমস্যার কথা উঠে আসে এবং কি ভাবে তা সমাধান করা যায় তারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সহভাগিতার পর মুক্ত আলোচনা করা হয় । আলোচনা শেষে পাল-পুরোহিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ও মধ্যাহ্নভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : রিজেন্ট সনেট কস্তা

 

 

 

 

Please follow and like us: