গত ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় উপাসনা পরিষদ, এর আয়োজনে ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীতে ১০০ জন যুবক-যুবতীদের নিয়ে দিনব্যাপী উপাসনা বিষয়ক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এই সেমিনারের মূলসুর ছিল ‘পূণ্য উপাসনায় ঐশজনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ’। সকাল ৯:১৫ মিনিটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও রোজারিমালা প্রার্থনার মধ্যদিয়ে সেমিনার শুরু করা হয়। প্রথমেই শুভেচ্ছা বক্তব্যে উপাসানা পরিষদ, রাজশাহী এর আহ্বায়ক ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন। তিনি অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সেমিনারের উদ্দেশ্য ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, উপাসনা হল মণ্ডলির প্রাণকেন্দ্র, তাই পবিত্র উপাসানায় সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যাবশ্যক। উপাসনার রীতিনীতি, বাণী পাঠ, গান ও উত্তরদানে আরও বেশি সক্রিয় ও সচেতনভাবে অংশগ্রহণ করলে উপাসান প্রানবন্ত, ভাবগাম্ভীর্য ও ভক্তিপূর্ণ হবে।’
উক্ত সেমিনারে মূল বিষয়ের উপর উপর সহভাগিতা করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার উত্তম রোজারিও। তিনি বলেন, ‘উপাসনা কোন একক ধর্মক্রিয়া নয় এটি সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ ও মিলন-উৎসব। উপাসনায় জয়ধ্বনি, প্রত্যুত্তর, সামসঙ্গীত, ধূয়ো, গীতি এবং ক্রিয়া, অঙ্গভঙ্গী ও আসনাদির মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য মণ্ডলি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন। উপাসনা-অনুষ্ঠানে পবিত্র শাস্ত্র বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কারণ পবিত্র শাস্ত্র থেকেই পাঠ পড়া হয়, পাঠের ব্যাখ্যা দেয়া হয় এবং সামসঙ্গীত গান করা হয়। তাই ধর্মপল্লীতে উপাসনা অনুষ্ঠানে, সকলকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
‘উপাসনায় সঙ্গীতের গুরুত্ব’ এই বিষয়ে শ্রদ্ধেয় ফাদার শ্যামল গমেজ বলেন, ‘খ্রিস্টযাগে উপাসকে প্রাণবন্ত করতে ও ভক্তিপূর্ণ করতে গানের ভূমিকা অপরিসীম। উপাসনায় গানের দলের অর্ন্তভুক্ত অংশগুলোতে গানের দলকে সুন্দরভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। গানের দলের অন্যতম কাজ হল উপাসনা সঙ্গীতে ভক্তজনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণে সাহায্য করা। এটা তাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বদা পালনীয় একটি দায়িত্ব। আর অর্থপূর্ণ ধর্মীয় সঙ্গীত, সুন্দর ভাবে গান করা নির্ভর করে একজন যোগ্য পরিচালকের তার গানের দলের উপর নির্ভর করে’। এরপর উপাসনার কিছু গানের অনুশীলন করা হয়। পরিশেষে, শ্রদ্ধেয় ফাদার উত্তম রোজারিও সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: ফা: সুরেশ পিউরীফিকেশন