গত ১৩-১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে ধর্মপ্রদেশের কাটেখ্রিস্ট সিস্টার, পুরুষ ও মহিলা কাটেখ্রিস্টদের নিয়ে তপস্যাকালীন নির্জন ধ্যানের ব্যবস্থা করেন ধর্মশিক্ষা ও বাইবেল বিষয়ক কমিশন। এতে ধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে মোট ৩২ জন অংশগ্রহণ করেন। নির্জন ধ্যানটি পরিচালনা করেন ফাদার শ্যামল গমেজ। তিনি শুরুতেই নিবেদিত জীবন এবং প্রেরণ কাজ কী? এবং এ বিষয়ে আমাদের করণীয় দিকসমূহ কেমন হবে তারই দিক নির্দেশন দেন।

তিনি তার অনুধ্যানে মূলত: নিবেদিত জীবনে প্রেরণ কাজের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাই, তিনি উদাহরণস্বরূপ ৭২ ও ১২ জন প্রেরিতদূতের প্রেরণ কাজ ও বাণী প্রচারের ফলে কি কি ঘটেছে তারই চিত্র আমাদের কাছে তুলে ধরেন এবং যিশু যে আমাদেরকে বাণী প্রচারের কাজে নিযুক্ত করেছেন সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি আরো বলেন, যিশু বর্তমানেও তার প্রেরণ কাজ আমাদের মধ্য দিয়ে করে যাচ্ছেন। তাই, এখনো পর্যন্ত যারা খ্রিস্টকে চিনে নি বা জানে নি কিংবা খ্রিস্টের জন্য তৃষ্ণার্ত তাদের কাছে আমাদেরকে মঙ্গলবার্তা বহন করে নিয়ে যেতে হবে।

পরে তিনি ক্ষমা’র বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ক্ষমা হলো ভালোবাসার সর্বশেষ হৃদয়। ক্ষমা হলো ঐশ উপহার, আমাদের সব সময় একে অপরকে ক্ষমা করতে হবে। ক্ষমা দানের মাধ্যমেই জীবনে আমরা লাভ করি স্বস্তি ও আরাম। ক্ষমা মানে অন্যের দোষ-ত্রুটি ভুলে যাওয়া। তাই আসুন, আমরা ক্ষমার মানুষ হই। ক্ষমার মাধ্যমে যিশুর ভালোবাসা এ জগতবাসীর কাছে মূর্ত করে তুলি। যেন যিশুর ভালোবাসায় এ জগৎ ক্ষমা লাভের মধ্যদিয়ে অন্তরাত্মায় নবীকৃত হতে পারে।

পবিত্র খ্রিস্টযাগ ও পাপস্বীকারের মাধ্যমে ২দিনের নির্জন ধ্যান সমাপ্ত করা হয়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : সুশীল বি টুডু

Please follow and like us: