দূর্গাপুর উপজেলার মহিপাড়া ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হলো সাধু আন্তনীর মহা পর্ব। মহিপাড়া সাধু আন্তনীর গির্জা ভূমিতে এই মহা পর্ব উদযাপন করা হয়। গত ৪ জুন হতে ১২ জুন পর্যন্ত নভেনা চলে এবং ১৩ জুন সকাল ৯ টায় সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসব উৎসর্গ করেন শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও এবং তাকে সাহায্য করেন মহিপাড়া ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার সুব্রত পিউরিপিকেশনসহ অন্যান্য মিশন থেকে আগত ফাদারগণ। এই পর্বীয় মহাখ্রিস্টযাগে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে আগত ২০ জন ফাদার, ১০ জন সিস্টারসহ দূর-দূরান্ত থেকে আগত প্রায় ১০০০ জন খ্রিস্টভক্ত।

বিশপ জের্ভাস রোজারিও তার উপদেশ বাণীতে বলেন, সাধু আন্তনী হলো বিজয়ী, ত্যাগী, ভালোবাসা ও হারানো জিনিস ফিরে পাওয়ার সাধু। আমাদের কোন মূল্যবান জিনিস হারিয়ে গেলে সাধু আন্তনীর কাছে প্রার্থনা করলে তা ফিরে পায়। সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ারকে সোনাদানা এবং প্রজ্ঞা এই দুটোর মধ্যে বেছে নিতে বললে, তিনি প্রজ্ঞা বেছে নিয়েছিলেন। ঠিক তেমনি সাধু আন্তনীও প্রজ্ঞাকে বেছে নেন। আমরা মনের দিক থেকে সবাই গরীব। আমরা যদি সমগ্র জগতকে জয় করি কিন্তু আত্মাকে হারাই তবে তার কোনই মূল্য নেই।

মহান সাধু আন্তনীর তীর্থোৎসবে অংশগ্রহণকারী পল্লবী মার্ডী তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, সাধু আন্তনীর তীর্থে এসে আমার খুব ভালো লাগলো। এখানে এসে আমি সাধু আন্তনীর মতো বিনয়ী নম্র হওয়ার উৎসাহ পেলাম। এছাড়া মিলনের যে আনন্দ তা এখানে এসেই বুঝলাম। তাছাড়াও আমি এখানে এসে শিখলাম আমরা যেন খারাপ কাজ করে আমাদের আত্নাকে না হারাই।

খ্রিস্টযাগের শেষ আশীর্বাদের আগে পর্বীয় বিস্কুট ও খ্রিস্টভক্তদের নিয়ে আসা ধর্মীয় সামগ্রীর উপর বিশপ মহোদয় পবিত্র জল সিঞ্চনের মধ্যদিয়ে সেগুলোকে আশীর্বাদ করেন।

মহাপর্ব ও তীর্থের খ্রিস্টযাগ সম্পন্ন শেষে ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার সুব্রত পিউরিফিকেশন ধর্মপল্লীর পক্ষ থেকে সকলকে তীর্থ উৎসবে যোগদান করার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান সাধু আন্তনীর মধ্যদিয়ে যাতে আমাদের বিশ্বাস গভীরতর হয়ে উঠে এবং ভক্তি ভালবাসা বৃদ্ধি পায়।

খ্রিস্টযাগ শেষে সাধু আন্তনীর গ্রটোতে প্রথমে ফাদার তারপর দলে-দলে খ্রিস্টভক্ত সাধু আন্তনীর নিকট প্রার্থনা ও মানতকৃত জিনিস সাধু আন্তনীর নিকট রাখেন এবং এর মধ্য দিয়ে সাধু আন্তনীর মহাপর্ব সমাপ্তি হয়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : জনি মুরমু

Please follow and like us: