১৬ ই জুন বনপাড়া ধর্মপল্লীতে মহাসমারোহে সাধু আন্তনীর পর্ব উদযাপন করা হয়। পর্বের প্রস্তুতি স্বরুপ নয়দিন নভেনা প্রার্থনা ও খ্রিস্টযাগ এবং আগের দিন সাধু আন্তনীর পালা গান করা হয়।
পর্বীয় খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের মাউসাইদ ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার ডমিনিক সেন্টু রোজারিও এবং সহার্পিত খ্রিস্টযাগে অংশ নেন পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তাসহ অন্যান্য ফাদার, সিস্টার ও খ্রিস্টভক্তগণ।
ফাদার ডমিনিক সেন্টু রোজারিও তার উপদেশ বাণীতে বলেন, “আমাদের সকলের উচিত আমাদের প্রতিপালক সাধু/ সাধ্ধীর পর্ব উদযাপন করা এবং তাদের মধ্যস্থতা কামনা করে প্রার্থনা করা। সাধু আন্তনী সারাবিশ্বের অনেক জনপ্রিয় একজন সাধু। তিনি গর্ভবতী নারী, স্বামী স্ত্রীর ভালো সম্পর্ক এবং আরো অনেক অলৌকিক কাজ করেছেন। আমরা কি তার কাছে আশীর্বাদ কামনা করে প্রার্থনা করি? সাধু আন্তনী আমাদের সকলকে আশীর্বাদ দান করুন। তিনি শুধু যিশুকেই কোলে নেননি কিন্তু মা – মারীয়ার প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ও ভক্তি ছিল। তাই তিনি মা- মারীয়ার নামে উক্তি করে বলেছিলেন, মা মারীয়ার নামটি অনেক মধুর। আজও তার জিহ্বা অবিকল রয়েছে যা এক অলৌকিক কর্ম।”
খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণকারী আন্তনীভক্ত একজন সেমিনারীয়ান রক্তিম রায় বলেন,” আমি ছোটবেলায় সাধু আন্তনীর কাছে প্রার্থনা করে এক জটিল সমস্যার সমাধান পেয়েছি তাই সাধু আন্তনীকে আমি অনেক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস করি।”
আরেকজন যুবতী সুলেখা গমেজ বলেন ” আমার বিবাহের ৪ বছর পর সাধু আন্তনীর কাছে মানত করে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেই এর পর থেকে সাধু আন্তনীকে আমি অনেক ভক্তি করি এবং তার পর্বে অংশগ্রহণ করি”।
খ্রিস্টযাগের পর পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস কস্তা সকলকে পর্বীয় শুভেচ্ছা জানান এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পরিশেষে পর্বীয় বিস্কুট আশীর্বাদ ও বিতরণ করা হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : লর্ড রোজারিও
Please follow and like us: