আজ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের খ্রিস্টজ্যোতি ও পালকীয় সেবাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ধর্মপ্রদেশীয় পালকীয় কর্মশালা।
এই বছর ধর্মপ্রদেশীয় পালকীয় কর্মশালার মূলসুর হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, “সিনোডাল মণ্ডলি : খ্রিস্টবিশ্বাসের দায়িত্ব- মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ”।
উক্ত সম্মেলনে ধর্মপ্রদেশের বিশপ, ফাদার, সিস্টার ও ২৯টি ধর্মপল্লী ও উপ-ধর্মপল্লী থেকে প্রায় ২৭৫ জন খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করবে।
এই ধর্মপ্রদেশীয় পালকীয় কর্মশালার সভাপতিত্ব করবেন ধর্মপ্রদেশেদের ধর্মপাল বিশপ জের্ভাস রোজারিও এবং আহবায়কের দায়িত্ব পালন করবেন ফাদার বাবলু কোড়াইয়া।
পালকীয় কর্মশালার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিশ্ব মণ্ডলির সাথে একাত্ব হয়ে পথ চলতে পারি এবং মহাদেশীয়, দেশীয় এবং ধর্মপ্রদেশীয় পর্যায়ে “সিনোডাল মণ্ডলি হয়ে খ্রিস্টবিশ্বাসের দায়িত্ব গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে যেন মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারি। সেই লক্ষ্য পূরণে সর্বজনীন মণ্ডলির সাথে এক হয়ে আমরাও আমাদের ধর্মপ্রদেশ পর্যায়ে সকলে মিলে এক সাথে বসি, আলাপ-আলোচনা করি এবং সিদ্ধান্ত নেই যেন ধর্মপল্লীতে ফিরে গিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে পারি।
পালকীয় কর্মশালার সভাপতি বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, “পুণ্য পিতা পোপ ফ্রান্সিসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা রাজশাহী ধর্মপ্রদেশকে একটি মিলনধর্মী বা সিনোডাল মণ্ডলি হিসেবে গড়ে তুলতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এখানে আমরা সেই অঙ্গীকারের পুনরাবৃত্তি ও শক্তিশালী করতে চাই। আর প্রতিবছরই আমরা আমাদের ধর্মপ্রদেশে কোন একটি বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা, ধ্যান-প্রার্থনা ও পরিকল্পনা করে আসছি।”
তিনি আরো বলেন, “এই কথা সত্য যে আমরা খুব একটা এগুতে পারিনি। তবে কাজের কাজ কিছু যে হয়নি তা কিন্তু নয়। আমরা এইভাবে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতন হয়েছি এবং সেইমত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে আমরা রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের কিছু উন্নয়নও করেছি। তবে সেই উন্নয়নের আসল লক্ষ্য ‘মানুষই’। আমরা মানুষ হিসেবে বিশ্বাস ও নৈতিক মূল্যবোধে কতটুকু বেড়েছি তা-ও আমাদের দেখতে হবে। আর এই পালকীয় কর্মশালার মধ্যদিয়ে আমরা তা মুল্যায়ন করতে চেষ্টা করব।”
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার