মথুরাপুর ধর্মপল্লীতে হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান
গত ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মথুরাপুর ধর্মপল্লীতে মোট ৭১ জন ছেলে-মেয়েকে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় জের্ভাস রোজারিও পবিত্র খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান করেন। উক্ত খ্রিস্টযাগে পাল-পুরোহিত ফাদার শিশির নাতালে গ্রেগরী, সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার উত্তম রোজারিও, ফাদার বাপ্পী এনরিকো ক্রুশ ও ধর্মপল্লীর ৪ জন সিস্টারসহ মোট ৭৫০ জন খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করেন।
হস্তার্পণপ্রার্থী ছেলে-মেয়ে, বিশপ, ফাদার ও সেবকগণ কর্তৃক শোভাযাত্রার মাধ্যমে পবিত্র খ্রিস্টযাগ শুরু হয়। খ্রিস্টযাগে বাণীপাঠ, সার্বজনীন প্রার্থনা ও উৎসর্গ শোভাযাত্রায় হস্তার্পণপ্রার্থী ছেলে-মেয়েরা অংশগ্রহণ করে। খ্রিস্টযাগের পর হস্তার্পণ সংস্কার গ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সিস্টার ঈশিতা পালমা, এএসএমআরএ, মিসেস ফিলোমিনা পালনা ও রিজেন্ট নয়ন পালমা বিগত ৮ মাস যাবৎ ধর্মশিক্ষা ক্লাসের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদের হস্তার্পণ সংষ্কার গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে তোলেন।
মথুরাপুর ধর্মপল্লীতে দম্পত্তি সেমিনার
মথুরাপুর ধর্মপল্লীতে বিগত ২৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে দম্পত্তি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিবাহিত জীবনে যেসব স্বামী ও স্ত্রী ০১ থেকে ১৫ বছর অতিক্রম করেছেন তাদের নিয়ে এই সেমিনার করা হয়। সর্বমোট ৬৪ জন স্বামী ও স্ত্রী অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধন প্রার্থনা ও নৃত্যের মাধ্যমে সেমিনার শুরু হয়।
পাল-পুরোহিত ফাদার শিশির নাতালে গ্রেগরী সর্বপ্রথমে তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে সকলকে স্বাগতম জানান। সেমিনারের মূলসুর “বিবাহ: ভালবাসা, বিশ্বাস ও পবিত্রতায় জীবন যাপন” সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন গোপালপুর ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার দীপক কস্তা, ওএমআই। এছাড়া বর্তমান পারিবারিক বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায় সম্পর্কে মি. বেনেডিক্ট মুর্মু প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অংশগ্রহণকারীগণ আলোকিত হন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে উক্ত সেমিনারটি সমাপ্ত হয়।
বেদীসেবকদের নিয়ে শিক্ষা সফর
মথুরাপুর ধর্মপল্লীর মোট ৪৮ জন বেদীসেবক নিয়ে বিগত ২২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে এক শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। বেদীসেবকদের সাথে ছিলেন ফাদার উত্তম রোজারিও, সিস্টার ঈশিতা পালমা, এসএমআরএ ও রিজেন্ট নয়ন পালমা। বেদীসেবকগণ পাকশি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও পদ্মার পার পরিদর্শন করে গোপালপুর ধর্মপল্লীতে গিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজ গ্রহণ করেন। এরপর তারা বনপাড়া ধর্মপল্লীতে গিয়ে সেমিনারী, গীর্জারঘর ও ধর্মপল্লী চত্বর পরিদর্শন করেন। বনপাড়া ধর্মপল্লীর ফাদারগণ তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করেন এবং তাদের জন্য চা নাস্তার ব্যবস্থা করেন। সবশেষে তারা নিজ ধর্মপল্লীতে ফিরে আসেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : রিজেন্ট নয়ন পালমা