“খ্রিস্টরাজা তোমারে প্রণাম করি, তুমি পবিত্র ঈশ্বর-নন্দন তোমারে প্রণাম করি, তুমি পাপীর তরে জীবন দিয়েছ, তোমারে প্রণাম করি”। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চাঁদপুকুর ধর্মপল্লীটি শান্তিরাজ খ্রিস্টের নামে উৎস্বর্গীকৃত। তাই তিনদিন আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি ও নভেনা প্রার্থনা পর ২৬ নভেম্বর মহাসমারহে খ্রিস্টরাজার পর্ব ও নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। সকাল ৯:৩০ মিনিটে গির্জা থেকে খ্রিস্টরাজা মূর্তি দাশাই নৃত্যের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রা করে বোর্ডিং চাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে অতিথি ফাদারগণকে পা-ধুয়ানো ও ফুলের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। সকাল ১০ ঘটিকায় সেবক ও ফাদারগণ শোভাযাত্রা করেন বেদিতে প্রবেশ করেন।

উক্ত দিনে পর্বীয় খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন কৃষ্ণবলভ ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার পাত্রাস হাঁসদা। এছাড়া পবিত্র খ্রিস্টযাগে আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুকুর ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার বেলিসারিও সিরো মন্তোজা, ফাদার সুবাস কস্তা, ফাদার সমর দাংগ, ফাদার সুবল কুজুর, ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু, ডিকন মাইকেল হাঁসদা, সিস্টার রাণী সরেন, সিস্টার মিরাল্লা, সিস্টার শিলা গমেজসহ ২৬ টি গ্রামের প্রায় ১০০০ খ্রিস্টভক্তগণ।

উক্ত পর্বীয় খ্রিস্টযাগে প্রধান পৌরহিত্যকারী শ্রদ্ধেয় ফাদার পাত্রাস হাঁসদা উপদেশ বাণীতে বলেন, খ্রিস্টরাজা আমাদের প্রত্যেকের রাজা। তিনি জাগতিক রাজার উর্ধ্বে। প্রকৃত অর্থে খ্রিস্ট হচ্ছে আধ্যাত্মিক রাজা। যে খ্রিস্টরাজ আমাদের ভালোবেসে নিজের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, ক্রুশে প্রাণ দিয়েছেন। শিষ্যদের পা ধুয়ে দিয়ে নম্রতার আর্দশ দেখিয়েছেন। আমরা অনেক সময় মনে করি আমরা খারাপ কাজ করি না তাই আমরা ভালো। কিন্তু তিনি আজ আমাদের বলেন, আমরা যেন মানুষের জন্য কল্যাণ কাজ করি। কারণ শেষ বিচারের দিনে তিনি আমাদের প্রত্যেকে জিজ্ঞেস করবেন আমরা মানুষের জন্য কি ভালো কাজ করেছি। তাই প্রতিনিয়ত মানুষের কল্যাণ করা আমাদের খ্রিস্টীয় দায়িত্ব।

পবিত্র খ্রিস্টযাগের পর পর্ব দিনের ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন ও টিফিন প্রদান, জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দাংসামাং গ্রহণ, পুরস্কার বিতরণ ও দুপুরের আহারের মধ্য দিয়ে দিনের সমাপ্তি টানা হয়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার উজ্জ্বল সামুয়েল রিবেরু

Please follow and like us: