জন্মের পরে আমাদের প্রত্যেককেই প্রভুর নিকট নিবেদন করা হয়। আর এই নিবেদিত মানুষ হয়ে উঠার জন্য পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে খ্রিস্টবিশ্বাসের গঠন ও চর্চা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জের্ভাস রোজারিও সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর পর্বোৎসবের খ্রিস্টযাগে এই কথা বলেন।
২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব মণ্ডলিতে উদযাপন করা হয় প্রভু যিশুর মন্দিরের নিবেদন পর্ব। আর এরই ধারাবাহিকতায় প্রভু নিবেদন ধর্মপল্লী সুরশুনিপাড়াতে আধ্যাত্মিকতা ও জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ধর্মপল্লীর পর্ব, প্রথম কমূনিয়ন ও হস্তার্পণ সংস্কার এবং দু’জন যাজকের বিদায়-বরণ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। পর্বের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিস্বরূপ ছিলো নয়দিনের নভেনা। সেই সাথে ১১৮ জন ছেলে-মেয়েকে প্রথম কমূনিয়ন গ্রহণের জন্য এবং ৫৫ জনকে হস্তার্পণ সংস্কার প্রদানের প্রস্তুতিক্লাস দেওয়া হয়।
পর্বোৎসবে বিশপ জের্ভাস রোজারিওকে সাঁন্তালী কৃষ্টি-সংস্কৃতি দাঁড়াম নৃত্যের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সহার্পিত খ্রিস্টযাগে নয়জন যাজক অংশগ্রহণ করেন। খ্রিস্টযাগের পর পর্বীয় শুভেচ্ছানুষ্ঠানে মিশনের পালকীয় পরিষদের সেক্রেটারী বেঞ্জামিন টুডু সবাইকে পর্বীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের সুরশুনিপাড়া মিশনের আধ্যাত্মিক ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য খ্রিস্টভক্তদের ব্যাপক দায়িত্ব রয়েছে।’
এরপর বিদায়ী ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশনকে ধন্যবাদ এবং নবাগত ফাদার সাগর কোড়াইয়া ও সিস্টার শ্যামলী গমেজকে বরণ করা হয়। ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা পর্বীয় উৎসবে সবার অবদান ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ প্রদান করেন।
খ্রিস্টযাগের পর গোদাগাড়ি-তানোর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানানো হয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আদিবাসী ভাইবোনদের প্রতি আমার দরদবোধ সব সময়ই কাজ করে। বর্তমান সরকার আদিবাসীদের কথা চিন্তা করেন। তাই বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চেতনায় গড়ে তোলার জন্য আদিবাসীদের দায়িত্ব রয়েছে।’
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: ক্যারোলিনা মুর্মু