রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মুণ্ডুমালা ধর্মপল্লীতে মধ্য ভিকারিয়ার বাৎসরিক প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় মাণ্ডলিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মধ্য ভিকারিয়ার সকল ধর্মপল্লী থেকে আগত ফাদার, সিস্টার ও খ্রিস্টভক্তগণ এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ধর্মপল্লীতে বাণীপাঠক ও বেদীসেবা দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা সমন্ধে আলোচনা করা হয়। ফাদার উইলিয়াম বলেন, পালকীয় সেবাকাজ বৃদ্ধিতে আমাদের ধর্মপ্রদেশের ধর্মপল্লীগুলোতে বাণীপাঠক ও বেদীসেবার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করা দরকার। ক্যাথিড্রালে ইতিমধ্যে বাণীপাঠক ও বেদীসেবার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং তা অনুশীলন করা হচ্ছে। ধর্মপল্লীতে বাণীপাঠককে প্রস্তুতি নিয়ে পাঠ করতে হয় এবং নির্দিষ্টস্থানে পাঠক আসনগ্রহণ করেন।

মধ্য ভিকারিয়ার ধর্মপল্লীগুলোর প্রধান একটি সমস্যা মিশ্র বিবাহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যাঞ্চেলর ফাদার প্রেমু রোজারিও মিশ্র বিবাহ বিষয়ে বলেন, এটি একটি জটিল বিষয়। অন্য মণ্ডলির সাথে বিবাহকে আন্তঃমাণ্ডলিক এবং অন্য ধর্মের ব্যক্তির সাথে বিবাহকে আন্তঃধর্মীয় বিবাহ বলে। তবে আন্তঃধর্মীয় বিবাহ কোন সংস্কার নয়। বর্তমান প্রযুক্তি, শিক্ষা ও পেশাগত কারণে মিশ্র বিবাহ সংঘটিত হচ্ছে। মাতামণ্ডলি ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাস ও ব্যক্তি জীবন এবং মর্যাদা রক্ষায় মিশ্র বিবাহের অনুমতি দেন। আন্তঃমাণ্ডলিক ও আন্তঃধর্মীয় বিবাহের ক্ষেত্রে কাথলিক মণ্ডলির বিশপের লিখিত অনুমতি প্রয়োজন। আর অন্য মণ্ডলির পুরোহিত বিবাহ আশির্বাদ প্রদান করলে অবশ্যই কাথলিক মণ্ডলির একজন সাক্ষী থাকতে হবে।

নবাই বটতলাতে ধর্মপ্রদেশীয় তীর্থোৎসবের মূল্যায়নে বলা হয়, নবাই বটতলায় রক্ষাকারিণী মা মারিয়ার তীর্থকে ধর্মপ্রদেশীয় তীর্থ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই বছর তীর্থযাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ও এর সার্বিক আয়োজনও ভালো ছিলো। সভায় ধর্মপল্লীতে আমরা কিভাবে একসাথে পথ চলছি সে বিষয়ে সহভাগিতার অনুরোধ জানালে এই অভিমত ব্যক্ত হয়, পিতামাতা ও যুবক-যুবতীদের সভা-সেমিনার, শ্রেণীভিত্তিক ব্যক্তিদের ধর্মশিক্ষা প্রদান ও অন্যান্য কাজের মধ্য দিয়ে সিনোডালিটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার: ফাদার সাগর কোড়াইয়া

Please follow and like us: