গত ২২শে ফেব্রুয়ারি মুশরইল ধর্মপল্লী ও সেমিনারীর প্রতিপালক সাধু পিতরের পর্ব মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়।উল্লেখ্য পর্বের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিস্বরূপ পর্বের আগে নয় দিনের নভেনা করা হয় এবং ২১ তারিখ অর্থাৎ পর্বের আগের দিন সন্ধ্যায় সাধু পিতরের স্মৃতিচিহ্ন সহযোগে আলোক শোভাযাত্রা করা হয়।

পর্বীয় খ্রিস্টযাগের পূর্বে আদিবাসী কৃষ্টিতে নাচ- গান ও হাত ধোয়ানোর মাধ্যমে পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয়কে বরন করে নেওয়া হয়।সকাল ৯.৪৫ মিনিটে পর্বীয় খ্রিস্টযাগ শুরু হয়। খ্রিস্টযাগে প্রধান পুরোহিত্য করেন পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও এবং সহার্পিত খ্রিস্টযাগে অংশ নেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যান্সেলর ফাদার প্রেমু টি রোজারিও, মুশরইল ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ও সেমিনারির পরিচালকদ্বয়।

খ্রিস্টযাগে বিশপ মহোদয় তার উপদেশ বাণীতে বলেন, ” আজ আমরা মুশরইল ধর্মপল্লী ও সেমিনারীর প্রতিপালক সাধু পিতরের পর্ব উদযাপন করছি। আজ সাধু পিতরের ধর্মাসন মহাপর্ব আর ধর্মাসন হচ্ছে ধর্মপালের শিক্ষাদানের প্রতীক। সকল বিশপদের জন্য ক্যাথিড্রালে ধর্মাসন রয়েছে যেখান থেকে বিশপগণ শিক্ষা দান করেন। আজ আমরা সাধু পিতরের জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারি তার মতো নম্র ও বিনয়ী হতে। আমাদেরও উচিত তার মতো খ্রিস্টের বাণী প্রচার করা।

খ্রিস্টযাগের পরে মুশরইল ধর্মপল্লী ও সেমিনারির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লটারি ড্র।

ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার প্রশান্ত আইন্দ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,” পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয়, অন্যান্য ফাদারগণ, ব্রাদারগণ, সিস্টারগণ ও খ্রিস্টভক্তবৃন্দ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই কারণ আপনার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন। আপনাদের আর্থিক অনুদান, পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সবাই ভালো থাকবেন”।

পরিশেষে বিশপ মহোদয়কে উপহার সামগ্রী প্রদান ও দুপুরের আহার গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : লর্ড রোজারিও

Please follow and like us: