সংবাদদাতা: ফাদার শ্যামল গমেজ

নয়দিনের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির পর বনপাড়া ধর্মপল্লীর প্রতিপালিকা লূর্দের রাণী মা মারীয়ার পর্ব উদযাপিত হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্বীয় খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশের বিশপ সেবাস্টিয়ান টুডু। এছাড়া ফাদার, সিস্টার এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তগণ খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন।

খ্রিস্টভক্তগণ নয়দিনের নভেনা খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। ফাদারগণ নভেনা খ্রিস্টযাগে মা মারীয়াকে কেন্দ্র করে মূলভাবের ওপর খ্রিস্টযাগ অর্পণ ও উপদেশবাণী রাখেন। পর্বের আগের দিন বিকালে ক্রুশের পথ, সন্ধ্যায় আলোক শোভাযাত্রা এবং নিরাময় অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো। শারীরিকভাবে অসুস্থ্য ও পীড়িত অনেকেই এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

পর্বীয় খ্রিস্টযাগে বিশপ সেবাস্টিয়ান টুডু বলেন, দূরদূরান্ত থেকে আমরা আমাদের ধন্যবাদ ও মানত নিবেদন করতে এখানে এসেছি। মা মারীয়া সাধ্বী বার্নাডেটকে দর্শন দিয়েছিলেন। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রকাশ করেন যে, ঈশ্বর ও মা মারীয়া আমাদের সাথে আছেন। ঈশ্বর মা মারীয়াকে অমলোদ্ভবা করেছিলেন যেন তিনি মা মারীয়ার গর্ভে জন্মগ্রহণ করতে পারেন। একইভাবে মা মারীয়া আমাদের জীবনে দর্শনদান করতে চান। আর এরজন্য প্রতিদিন রোজারীমালা প্রার্থনার বিকল্প নেই।

ফাদার দিলীপ এস. কস্তা সবাইকে পর্বীয় শুভেচ্ছা ও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, লূর্দের রাণী মা মারীয়া আমাদের সকলের মা। আর মা মারীয়া আমাদের প্রতিদিনের সহযাত্রী। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও বেশ আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিকতার সাথে এই পর্ব পালন করছি। নিরাময়কারী মা মারীয়ার নিকট আমরা আমাদের মানত উৎসর্গ করতে এসেছি। আর লূর্দের রাণী মা মারীয়া আমাদের প্রত্যেককে আশির্বাদ করবেন।

বোর্ণী ধর্মপল্লী থেকে পর্বে যোগদানকারী মিলন রোজারিও বলেন, দুই বছর যাবৎ আমি বনপাড়াতে লূর্দের রাণী মা মারীয়ার পর্বে যোগদান করে আসছি। মা মারীয়ার নিকট প্রার্থনা করে আমি সুফল লাভ করেছি বহুবার। আমার বিশ্বাস লূর্দের রাণী মা মারীয়ার নিকট বিশ্বাসপূর্ণ হৃদয়ে প্রতিদিন প্রার্থনা করলে মা মারীয়া কখনো নিরাশ করবেন না।

Please follow and like us: