সংবাদদাতা: ফাদার উত্তম রোজারিও

আমাদের অনেক ত্যাগ-সাধনা, পরিশ্রম এবং পোপের বিশ্বাস বিস্তার সংস্থার আর্থিক সহায়তায় এই গির্জাঘর নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। তাই আজ আমরা পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেই। গির্জাঘর হচ্ছে ঈশ্বরের উপস্থিতির চিহ্ন। আর যখনই আমরা গির্জাঘরে আসবো তখনই ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করতে পারবো। আমাদের পোপ ফ্রান্সিস অসুস্থ আছেন, তাঁর সুস্থতা কামনা করেও আজকে এই খ্রিস্টযাগে প্রার্থনা করি।

২৪ ফেব্রুয়ারি সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর অন্তর্গত নবনবী গ্রামে গির্জাঘর উদ্বোধন, আশির্বাদ ও হস্তার্পণ সংস্কার অনুষ্ঠানে বিশপ জের্ভাস রোজারিও এই কথা বলেন। খ্রিস্টযাগে ৫ জন ফাদার, ৩ জন সিস্টার, ২ জন কাটেখিস্ট, ৩৫ জন প্রার্থনা পরিচালক এবং প্রায় ৬৫৫ জন খ্রিস্টভক্ত অংশগ্রহণ করেন।

সাঁন্তালী নৃত্য-গীত ও পদ-প্রক্ষালনের মাধ্যমে বিশপ মহোদয়, পাল পুরোহিত ফাদার প্রদীপ যোসেফ কস্তা, ফাদার লুইস সুশীল পেরেরা, ধর্মপ্রদেশের উন্নয়ন কর্মকর্তা ফাদার উইলিয়াম মুর্মু ও কয়েকজন সিস্টারকে বরণ করে নেওয়া হয়।

বিশপ জের্ভাস রোজারিও ফিতা কর্তন করে নবনির্মিত গির্জাঘরের প্রধান দরজা উন্মুক্ত করেন। গির্জা নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্ট্রাক্টর আন্তন কিস্কু বিশপ মহোদয়ের হাতে গির্জার চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর গির্জার লিপিফলক উন্মোচন করেন বিশপ মহোদয়। খ্রিস্টযাগে ৫০ জন খ্রিস্টভক্ত হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত গ্রহণ করেন।

খ্রিস্টযাগের শেষে ফাদার প্রদীপ কস্তা বলেন, আমরা যেন এই গির্জাঘরের যত্ন নিই এবং প্রার্থনা ও উপাসনার জন্য এর সঠিক ব্যবহার করি এবং ছেলেমেয়েদেরও যেন ধর্মীয় শিক্ষা দেই।

Please follow and like us: