সংবাদদাতা: ফাদার উত্তম রোজরিও

জাতীয় যুব ক্রুশের প্রতি ভক্তি নিবেদন

সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রামের খ্রিস্টভক্তগণ জাতীয় যুব ক্রুশের প্রতি ভক্তি নিবেদন করেন এবং তাদের বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। ২৩ এপ্রিল মহাসমারোহে নবাই বটতলা ধর্মপল্লী হতে সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লী চত্বরে পৌঁচ্ছালে মাহালী ও সান্তালী কৃষ্টি অনুসারে ক্রুশটি বরণ করে নেয়া হয়। ক্রুশের প্রতি ভক্তি ও যিশুর প্রতি বিশ্বাস প্রকাশের জন্য এক বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো। ধর্মপল্লীর ফাদার-সিস্টার এবং প্রায় ৪৬জন যুবক-যুবতী ও ২২৫ জন খ্রিস্টভক্ত এতে অংশগ্রহণ করেন। পরের দিন থেকে এই ক্রুশ ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রামে পালাক্রমে প্রদর্শিত হয়।

প্রাকবিবাহ গঠন-প্রশিক্ষণ

সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রামের মোট ১৭জন যুবক-যুবতী প্রাকবিবাহ গঠন-প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের শুরুতেই পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ যোসেফ কস্তা সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, প্রাকবিবাহ গঠন-প্রশিক্ষণ বিবাহ সাক্রামেন্ত গ্রহণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৩০ এপ্রিল থেকে ৩ মে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণে বিবাহ প্রার্থীরা আধ্যাত্মিক ও বাহ্যিক প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ পায়। চারদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে পবিত্র বাইবেল, মাণ্ডলিক ঐতিহ্য ও আইন অনুসারে বিবাহ সাক্রামেন্ত, সুষ্ঠু মনোনয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আদর্শ পারিবারিক জীবন, প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা ও পারিবারিক অর্থনীতি বিষয়ের উপরে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিগণ অংশগ্রহণকারীদের গঠন ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

দম্পতি সেমিনার

সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় পরিবার জীবন কমিশনের উদ্যোগে বিভিন্ন গ্রামের প্রার্থনা পরিচালক দম্পতিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দম্পতি সেমিনার। ৮ মে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে ২৩ জোড়া দম্পতি অংশগ্রহণ করেন।

প্রার্থনা পরিচালক দম্পতিদের বিবিধ চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সহভাগিতা করতে গিয়ে ধর্মপল্লীর নারায়নপুর গ্রামের প্রার্থনা পরিচালক দম্পতি বলেন, সংসারে নানা অভাব-অনটন থাকলেও আমরা দু’জন সর্বদা ঈশ্বরের ওপর গভীর বিশ্বাস নিয়ে বিগত দিনগুলোতে জীবন যাপন করে আসছি। ঝলঝলিয়া গ্রামের প্রার্থনা পরিচালক দম্পতি তাদের পারিবারিক জীবন সহভাগিতায় বলেন, দৈনিক পারিবারিক প্রার্থনা ও রবিবাসরীয় প্রার্থনা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা কখনও অবহেলা করিনি। এজন্য ঈশ্বর যে আমাদের প্রতিটি কাজে সহায় থাকেন সেটি আমরা উপলব্ধি করতে পারি।

ফাদার পল পিটার কস্তা বলেন, নিজ নিজ গ্রামে রবিবাসরীয় উপাসনা পরিচালনার জন্য স্বয়ং ঈশ্বর আপনাদের বেছে নিয়েছেন। তাই এই কাজে বিশ্বস্ত থেকে আপনারা ঐশানুগ্রহে ধন্য হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

পালকীয় পরিষদের সদস্য-সদস্যাদের নিয়ে আশার তীর্থযাত্রা অনুষ্ঠিত

সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীর পালকীয় পরিষদের সদস্য-সদস্যা ও প্রার্থনা পরিচালকদের নিয়ে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের দক্ষিণ ভিকারিয়ার নাটোর, গুল্টা, মথুরাপুর, বোর্ণী, গোপালপুর ও বনপাড়া ধর্মপল্লীতে আশার তীর্থযাত্রার আয়োজন করা হয়। ৯ মে অনুষ্ঠিত এই তীর্থযাত্রায় ৫৬জন অংশগ্রহণ করেন। পালকীয় পরিষদের সেক্রেটারী বেঞ্জামিন টুডু অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, খ্রিস্ট জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আশার এই তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করে আমি অত্যন্ত খুশি। বিভিন্ন ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করে আমি অন্তর-আত্মায় যে শান্তি পেয়েছি তা সত্যিই অনন্য।

Please follow and like us: