নিজস্ব সংবাদদাতা
বিশ্বমণ্ডলী তথা বাংলাদেশ মণ্ডলীর জন্য আজকের এই দিন আশির্বাদপূর্ণ। বর্তমান বিশ্ব বাহ্যিকতায় ভরপুর। পরিবারে প্রার্থনা হারিয়ে যাচ্ছে। আর এই চ্যালেঞ্জের মূহুর্তে বাংলাদেশ মণ্ডলীতে এই ডিকনাভিষেক আশার পথ দেখায়। আজকে ডিকনগণ যিশুর যাজকীয় অভিষেকে প্রবেশের জন্য ডিকনানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি লাভ করছে। তাই খ্রিস্টভক্ত হিসাবে তাদের এই সেবাকাজে আমাদের সহায়তা করতে হবে। ২৪ মে পবিত্র আত্মা উচ্চ সেমিনারী, বনানীতে ডিকনাভিষেক অনুষ্ঠানের খ্রিস্টযাগের উপদেশে বিশপ জের্ভাস রোজারিও এই কথা বলেন।
২৩ ও ২৪ মে আনন্দ ও আধ্যাত্মিকতাপূর্ণ পরিবেশে এই ডিকনাভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মপ্রদেশের পনেরজন সেমিনারীয়ান ডিকন অভিষেক লাভ করেন। এরমধ্যে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ফৈলজানার অণু গমেজ, বোর্ণী থেকে উজ্জ্বল গমেজ, আলবার্ট বকুল ক্রুশ, বনপাড়া থেকে সনেট কস্তা, মুণ্ডুমালার জের্ভাস মুর্মু ও রহনপুর ধর্মপল্লী থেকে মাইকেল হেম্ব্রম ডিকন অভিষেক লাভ করেন।
ডিকনাভিষেক অনুষ্ঠানের খ্রিস্টযাগে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ সুব্রত হাওলাদার, বরিশালের বিশপ ইম্মানুয়েল রোজারিও, দিনাজপুরের বিশপ সেবাস্টিন টুডু, সেমিনারীর পরিচালক ফাদার পল গমেজ, সত্তরজন ফাদার, সিস্টার ও প্রার্থীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আত্মীয়-স্বজন।
২৩ মে ডিকন প্রার্থীদের কল্যাণে মঙ্গলানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলানুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো পবিত্র সাক্রামেন্তীয় আরাধনা ও আশির্বাদ অনুষ্ঠান। সেমিনারীর পরিচালক ফাদার পল গমেজ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এই সেমিনারীতে গঠন পাওয়া পনেরজন ভাই ডিকনাভিষেক লাভ করবে। আর এটা আমাদের জন্য আনন্দস্বরূপ। তাদের মঙ্গলকামনায় আমরা প্রার্থনা করবো।
নবাভিষিক্ত ডিকন মাইকেল হেম্ব্রম বলেন, দীর্ঘ সাধনার পর যিশুর যাজকত্ব লাভের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ডিকন অভিষেক লাভ করে আমি আনন্দিত। যিশুর আশির্বাদ আমি আমার অন্তরে অনুভব করছি। ডিকন মাইকেল ডিকনদের জন্য সবাইকে প্রার্থনা করতে অনুরোধ জানান।