সংবাদদাতা: শিবলাল মার্ডী
লূর্দের রাণী মারীয়া ধর্মপল্লী বনপাড়াতে অনুষ্ঠিত হলো হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত গ্রহণ ও পলকীয় পরিষদের শপথ বাক্য পাঠ গ্রহণ। তিন মাস প্রস্তুতির পর ৮ জুন পঞ্চাশত্তমী মহাপর্বে বিভিন্ন গ্রামের ৭২জন ছেলেমেয়ে হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত সংস্কার গ্রহণ করে। উল্লেখ্য যে, পূর্বের দিন প্রার্থী ও পিতা-মাতাসহ পাপস্বীকার সংস্কার গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি নেয়। পবিত্র খ্রিস্টযাগে পৌরহিত্য করেন বিশপ জের্ভাস রোজারিও।
খ্রিস্টযাগে উপদেশে বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, সাতটি সাক্রামেন্তের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্রামেন্ত হলো হস্তার্পণ। আজকের এই দিনে ধর্মপল্লীর ৭২জন ছেলেমেয়ে হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত সংস্কার গ্রহণ করতে যাচ্ছে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন। পরিবারেই যেন খ্রিস্টিয় জীবন সম্পর্কে আমাদের সন্তানদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয়। তারা যেন হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত সংস্কার সম্পর্কে আরো গভীরভাবে জানতে পারে। সেজন্য আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। তিনি শিশুদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, আজকের এই দিনে তোমরা যে বিশ্বাস ও আকাঙ্খা নিয়ে পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করেছ, সেই বিশ্বাস ও আকাঙ্খা যেন সারাজীবন ধরে রাখতে পারো।
পবিত্র খ্রিস্টযাগ শেষে পালকীয় পরিষদের সদস্য-সদস্যাদের নিয়ে পালকীয় পরিষদের শপথ বাক্য পাঠ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিশপ জের্ভাস রোজারিও পালকীয় পরিষদের সকল সদস্য-সদস্যাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরিশেষে ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস. কস্তা বিশপকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।