সংবাদদাতা: ডিকন আলবার্ট বকুল ক্রুশ

“খ্রিস্ট জুবিলী: আশার তীর্থযাত্রায় আমাদের অংশগ্রহণ” মূলসুরের ওপর চাঁদপুকুর শান্তিরাজ খ্রিস্ট ধর্মপল্লীতে ২ থেকে ৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হলো পালকীয় কর্মশালা। উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার বাবলু কোড়াইয়া, সহকারী পুরোহিত ফাদার মাইকেল হাঁসদা, ফাদার প্রেমু রোজারিও ও সিস্টারসহ ৫৮জন খ্রিস্টভক্ত। কর্মশালার শুরুতে পাল-পুরোহিত ফাদার বাবলু কোড়াইয়া উদ্বোধনী বক্তব্যে কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, চাঁদপুকুর ধর্মপল্লী যেন একটি অংশগ্রহণকারী ধর্মপল্লী হিসেবে গড়ে উঠে।

প্রথম দিনের আলোচনার মূল বিষয় ছিল ভক্তজনগণকে ধর্মপল্লীর প্রতি দায়িত্বের বিষয়ে সচেতন করে তোলা। “আমার ধর্মপল্লী, আমার দায়িত্ব” বিষয়ের ওপর সহভাগিতা করেন ডিকন আলবার্ট বকুল ক্রুশ। চাঁদপুকুর ধর্মপল্লীতে পালকীয় অভিজ্ঞতা বিষয়ে বলেন ফাদার মাইকেল হাঁসদা। “সামাজিক নেতৃত্ব: একাল-সেকাল ও প্রস্তাবনা” বিষয়ে আলোকপাত করেন চাঁদপুকুর ধর্মপল্লীর পালকীয় পরিষদের সহ-সভাপতি লুইস সরেন। বাণীপ্রচারের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে গোপীন হাঁসদা বলেন, আমরা সবাই খ্রিস্টধর্ম প্রচারক। আর মহাপ্রচারক হলেন স্বয়ং যিশু। আমাদের আসল ঠিকানা হল স্বর্গরাজ্য; এ রাজ্য থেকে যারা দূরে আছে তাদেরকে সেই রাজ্যে নিয়ে আসাই আমাদের দায়িত্ব।

দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনে মূলভাবের ওপর আলোচনা করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের চ্যান্সেলর ফাদার প্রেমু রোজারিও। আলোচনায় তিনি বলেন, এই পৃথিবীতে আমরা সবাই তীর্থযাত্রী। আমাদের এ যাত্রা মর্ত থেকে স্বর্গপানে, অসীম থেকে সসীমের পানে। এই যাত্রা সৃষ্ট মানব হতে সৃষ্টিকর্তা ভালবাসাময় ঈশ্বরের দিকে। জুবিলীবর্ষকে কেন্দ্র করে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল জের্ভাস রোজরিও’র পালকীয় পত্রের ওপর ভিত্তি করে ফাদার প্রেমু রোজারিও খ্রিস্টভক্ত হিসেবে কী দায়িত্ব রয়েছে এর ওপর আলোচনা করেন।

অংশগ্রহণকারীরা দলীয় আলোচনায় বিশপের পালকীয় পত্রের প্রশ্নের আলোকে আলোচনা করে ধর্মপল্লীর জন্য পরিকল্পনা ও করণীয় দিক নির্ধারণ করে।

Please follow and like us: