সংবাদদাতা: সুশীল টুডু
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় বাইবেলীয় ও কাটেক্যাটিক্যাল কমিশনের আয়োজনে খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে বিভিন্ন ধর্মপল্লীর চল্লিশজন কাটেখিস্ট মাস্টার ও সিস্টার নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় জুবিলী সেমিনার। ১১ থেকে ১৩ আগষ্ট অনুষ্ঠিত সেমিনারের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার ফাবিয়ান মারাণ্ডী ও খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রের পরিচালক ফাদার সাগর কোড়াইয়া।
জুবিলী সেমিনারের মূলভাব ছিলো, “খ্রিস্ট জন্মজয়ন্তী উৎসব ও আমাদের করণীয়”। জুবিলী বর্ষে কাটেখিস্টদের করণীয় বিষয়ে ফাদার সাগর কোড়াইয়া বলেন, কাটেখিস্টগণ প্রভুকে নিজেদের জীবনে জীবন্ত রাখে এবং অন্য খ্রিস্টভক্তদের প্রাণবন্তু রাখতে সহায়তা করে। কাটেখিস্ট হিসেবে আমাদের করণীয় হচ্ছে, জনগণের আধ্যাত্মিক সহযাত্রী হওয়া, বিশ্বাসের গঠন, বাণী ঘোষণা ও প্রচার, মণ্ডলীর ভালোবাসা প্রচার, মণ্ডলীর সাথে একাত্ম ও যুক্ত হওয়া।
ফাদার প্রেমু রোজারিও খ্রিস্ট জন্মজয়ন্তী বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, পুণ্যপিতা ফ্রান্সিস ২০২৫ খ্রিস্টাব্দকে জুবিলীবর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছেন। ঈশ্বর নিজেই জুবিলীর প্রবর্তক। তিনিই ইস্রায়েল জাতিকে জুবিলী পালনের নির্দেশ ও পালনের নিয়ম-নীতি দিয়েছেন। জুবিলী বর্ষ প্রার্থনা, তীর্থ, দয়ার কাজ ও দণ্ডমোচন যাচনার মাধ্যমে বিশ্বাসের নবায়ন করার সুযোগ দেয়। জুবিলী বর্ষে আমাদের আত্মার ক্ষত নিরাময় ও সকল পাপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বিশেষ অনুগ্রহ লাভ করি। জুবিলী বর্ষের একটি প্রধান বিষয় হলো তীর্থে যাওয়া। এটা হলো স্বর্গীয় পিতার দিকে জীবনের যাত্রা।