গত ১৯ থেকে ২০ জুলাই ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় খ্রিস্টভক্তজনগণ বিষয়ক কমিশনের আয়জনে খ্রিস্টজ্যোতি পালকীয় সেবাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো দুইদিন ব্যাপী নেতৃত্ব বিষয়ক সেমিনার। এই সেমিনারের মূলসুর ছিলো “খ্রিস্টিয় বিশ^াসের গঠন ও বাণী প্রচারে নেতা-নেত্রীদের ভূমিকা “। ধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে আগত ৬০ জন নেতা-নেত্রীদের অংশগ্রহণে এই নেতৃত্ব বিষয়ক সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। “আমরা কেউ জন্ম থেকে নেতা-নেত্রী হয়ে জন্মগ্রহণ করি না। কিন্তু আমরা প্রতিদিন নেতা-নেত্রী হয়ে উঠি। আমরা সবাই যার যার অবস্থানে এক একজন নেতা-নেত্রী। নেতা-নেত্রী হওয়ায় ক্ষমতা আমরা লাভ করি না বরং দায়িত্ব পাই”। উক্ত সেমিনারের শুভ উদ্বোধন করেন ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল শ্রদ্ধেয় ফাদার পল গমেজ। সেমিনারের উদ্বোধনের পরই ভিকার জেনারেল ফাদার পল গমেজ সেমিনারের মূলভাবের উপর প্রাণবন্ত উপস্থাপনা করেন। তিনি তাঁর সহভাগিতায় বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের পরিবার, সমাজ এবং ধর্মপল্লীর বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের পিতামাতা, নেতা-নেত্রী ও সন্তানদের কারণে অনেক সময় নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের প্রত্যেকের স্থান থেকেই তা দূরীকরণে কাজ করতে হবে। সবাইকে সচেতনতার মধ্যদিয়ে একত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এরপর খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তিনি তাঁর উপদেশে বলেন, যেহেতু আমরা সবাই খ্রিস্টে দীক্ষিত, তাই দীক্ষার মধ্যদিয়ে তিনটি দায়িত্ব লাভ করি আর তা হলো যাজকীয়, রাজকীয় এবং প্রাবক্তিক দায়িত্ব। আর এই তিনটি দায়িত্ব লাভ করার মধ্য দিয়েই আমরা নেতা-নেত্রী হয়ে উঠি। অন্যদিকে, কমিশনের আহ্বায়ক ফাদার বাবলু কোড়াইয়া নেতা, নেতৃত্ব ও নেতার গুণাবলী বিষয়ে সহভাগিতা করেন। তিনি তার সহভাগিতায় আরো বলেন, নেতৃত্ব¡ কোন ব্যক্তি বিশেষ নয়। ইহা একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে তিনটি উপাদন রয়েছে। যার কোন একটিকে বাদ দিয়ে নেতৃত্বে¡র সংজ্ঞা দেওয়া যায় না। এই উপাদান তিনটি হল- নেতা (Leader), অনুগামী (Follower) ও পরিস্থিতি (Situation)। এছাড়াও এই সেমিনারে মধ্যে আরো ছিলো দলীয় আলোচনা, ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ, মুক্তালোচনা এবং কিছু বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন। পরিশেষে অংশগ্রহণকারী সকল নেতা-নেত্রীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন এর মাধ্যমে সেমিনার সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।

Please follow and like us: