সংবাদদাতা: ফাদার অনিল মারাণ্ডী

‘পুণ্যবতী মারীয়া: দয়াময়ী মাতা’ মূলসুরের আলোকে ধন্যা মারীয়ার জন্মদিন উপলক্ষে বনপাড়া ধর্মপল্লীর আয়োজনে ও হলি ফ্যামিলী রোজারি মিনিস্ট্রি রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের সহযোগিতায় ৮ সেপ্টেম্বর লুর্দের রাণী মারীয়ার ধর্মপল্লী বনপাড়াতে অনুষ্ঠিত হলো অর্ধদিবসব্যাপী বিশেষ সেমিনার ও খ্রিস্টযাগ। এতে উপস্থিত ছিলেন বনপাড়া ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস. কস্তা, রাজশাহী হলিক্রস রোজারি মিনিস্ট্রির পরিচালক ফাদার অনিল মারাণ্ডী, বনপাড়া সেমিনারির পরিচালক ফাদার সুরেশ পিউরিফিকেশন, ফাদার উজ্জ্বল রিবেরু, ৪জন সিস্টার ও মারীয়া সংঘের সদস্যসহ মোট  ৮৫জন।

উল্লেখ্য, মা মারীয়ার জন্মদিন উপলক্ষে মারীয়া সংঘের মায়েরা আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিস্বরূপ নয়দিন নভেনা করেন। অর্ধদিবসব্যাপী সেমিনারের সূচনা হয় পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে। খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার দিলীপ এস. কস্তা।  উপদেশে তিনি বলেন, মা মারীয়ার জন্মোৎসব কাথলিক মণ্ডলীর অন্যতম আনন্দের দিন। ঐতিহ্য অনুসারে, ধার্মিক দম্পতি যোয়াকিম ও আন্না দীর্ঘ প্রতীক্ষা, প্রার্থনা ও বিশ্বাসের পর ঈশ্বরের আশির্বাদে কন্যা সন্তানেরূপে মারীয়াকে লাভ করেন। মারীয়ার এই জন্ম মানবজাতির ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, কারণ তাঁর মাধ্যমেই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন আমাদের পরিত্রাণদাতা যিশু খ্রিস্ট।

মূলসুরের আলোকে ফাদার সুরেশ পিউরিফিকেশন বলেন, মা মারীয়া তাঁর পুত্রের ন্যায় আমাদের সকলকে ভালবাসেন তাই আমরা সবসময় মায়ের দ্বারস্থ হই এবং তার কাছে মিনতি জানাই। ফাদার অনিল মারাণ্ডী জপমালা প্রার্থনা বিষয়ে বলেন, আমাদের বিপদে আপদে জপমালা প্রার্থনা বড় একটি সহায়ক। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এ বছর লুর্দে তীর্থ করার আর সেখানে লক্ষ্য করেছি মা মারীয়ার প্রতি মানুষের কত বিশ্বাস। তাই আসুন আমরা আবার পরিবারে জপমালা প্রার্থনা শুরু করি।

অংশগ্রহণকারী মারীয়া সংঘের রেখা কোড়াইয়া অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আমি প্রতিনিয়ত মা মারীয়ার কাছে প্রার্থনা করি আর অনেক ফলও পেয়েছি। মা মারীয়া আমাকে তাঁর সন্তানের মতোই আগলে রেখেছেন। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মা মারীয়া সম্পর্কে অনেক কিছু শুনে আরো ভালো লাগছে।

 

 

Please follow and like us: