সংবাদদাতা: ফাদার শ্যামল জেমস গমেজ

মানুষের জীবন থেকে আশা হারিয়ে গেলে জীবনটা নিরানন্দে ভরপুর হয়। আমরা প্রত্যেকে আশার মানুষ হয়ে উঠার মধ্য দিয়ে অন্যের মাঝে আশা জাগিয়ে তুলতে পারি। করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ আশা হারিয়ে ফেলেছিলো। তবে পোপ ফ্রান্সিস যিশুর জন্মজুবিলী বর্ষে ‘আশার তীর্থযাত্রী’ মূলভাব বেছে নেওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করতে চেয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর লূর্দের রাণী ধর্মপল্লী, বনপাড়াতে অনুষ্ঠিত পালকীয় কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে ফাদার দিলীপ এস. কস্তা এই কথা বলেন।

‘আমরাই আশার তীর্থযাত্রী’ মূলভাবের উপর কর্মশালা পরিচালনা করেন ফাদার সাগর কোড়াইয়া। তিনি রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপীয় পালকীয় পত্র ও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় পালকীয় কর্মশালায় বনপাড়া ধর্মপল্লী কর্তৃক গৃহীত অগ্রাধিকারের ওপর আলোচনা করেন। ফাদার সাগর কোড়াইয়া বলেন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে পোপ ফ্রান্সিস সাধু পিতরের ব্যাসিলিকার দরজা খোলার মধ্য দিয়ে যিশু খ্রিস্টের জন্মজুবিলী বর্ষ উদ্বোধন করেন। আর এই বছর জুবিলীবর্ষ উদযাপনের জন্য ২০২৪ খ্রিস্টাব্দকে পোপ ফ্রান্সিস প্রার্থনাবর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থনার মধ্য দিয়ে যিশুর জন্মজুবিলী পালনের জন্য আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। জুবিলী আমাদেরকে পাপ থেকে মন পরিবর্তন, ঋণ মওকুফ, অধিন্যস্ত কর্মীর প্রতি সদয় আচরণ ও ন্যায্যতা প্রদর্শন এবং খ্রিস্টবিশ্বাসী হিসেবে মণ্ডলীর প্রতি দায়িত্ববোধের কথা বলে।

জুবিলী বর্ষের আলোকে মতামত ব্যক্ত করে বেনেডিক্ট গমেজ বলেন, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় পালকীয় কর্মশালায় বনপাড়া ধর্মপল্লীর গৃহীত পাঁচটি পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মণ্ডলীর প্রতি জনগণের দায়বদ্ধতা ও জনগণকে গির্জামুখী করা বিষয়সহ অন্যান্য আরো তিনটি পদক্ষেপ যথাযথ করার জন্য বিভিন্ন দলকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে হবে।

পরিশেষে, পাপস্বীকার সংস্কার গ্রহণের মধ্য দিয়ে বনপাড়া ধর্মপল্লীর পালকীয় কর্মশালা সমাপ্ত হয়।

Please follow and like us: