সংবাদদাতা: মাইকেল টুডু

কৃষ্ণবল্লভ ধর্মপল্লীর আয়োজনে যুবক-যুবতীদের অংশগ্রহণে  অনুষ্ঠিত হল অর্ধদিবসব্যাপী আগমনকালীন নির্জনধ্যান। ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত ৭৩ জন যুবা অংশগ্রহণ করে। উপস্থিত ছিলেন পাল পুরোহিত ফাদার পাত্রাস হাঁসদা ও হাসানবেগপুর ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার সুবল কুজুর, সিএসসি।

পবিত্র আত্মা উচ্চ সেমিনারীর দুইজন সেমিনারীয়ান পরিবার, সমাজ, মণ্ডলী এবং দেশের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে যুবাদের অবহিত করেন। এছাড়াও পাপস্বীকার ও নির্জনধ্যানের জন্য প্রযোজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্জনধ্যান ও পাপস্বীকারের পর পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার হাঁসদা। খ্রিস্টযাগের উপদেশে ফাদার কুজুর সিএসসি বলেন, আমরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর প্রভু যিশু খ্রিস্টের জন্মতিথি উদযাপন করব। আর এই সময়টা হচ্ছে বিশেষ প্রস্তুতির সময়। আর সেই আধ্যাত্মিক প্রস্তুতিরই একটা অংশ হচ্ছে আজকের এই নির্জনধ্যান। মাতামণ্ডলী আমাদের এই প্রস্তুতির জন্য চারটি সপ্তাহ দিয়েছেন। আর এই চারটি সপ্তাহে ধ্যান করার জন্য আমাদের একেকটি সপ্তাহে একেকটি উদ্দেশ্য দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, যিশুর জন্মদিন আর আমাদের বড়দিন। নতুন জামা কাপড়ের মধ্যেই যেন বড়দিন সীমাবদ্ধতা না থাকে। আমাদের যিশুতে বড় হতে হবে, ভালবাসার মানুষ  হতে হবে। ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন তাই আমাদের শান্তিতে থাকতে হবে। যিশু ছাড়া আমরা কোন কিছু থেকে শান্তি পেতে পারি না। আমাদের শান্তির দূত হতে হবে। তাহলে আমাদের বড়দিনটা অর্থবহ হয়ে উঠবে।

খ্রিস্টযাগের শেষে পাল পুরোহিত ফাদার হাঁসদা যুবাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের উপস্থিতি আমার কাছে অনেক আনন্দের। তোমাদের প্রতি আমার অনুরোধ তোমরা ধর্মপল্লীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণ কর। এখানে নেতৃত্ব বিকাশের অপার সুযোগ রয়েছে। যা জীবনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। তোমরা চাইলে প্রতিমাসে আমরা এ ধরণের প্রোগ্রামের আয়োজন করতে পারি।

পরিশেষে ফটোসেশানের পর সমবেত ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালি নাচগানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।

 

Please follow and like us: