সংবাদদাতা: শর্মী কস্তা

কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের উদ্যোগে রাজশাহী শহরের রেইনী পার্ক রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে সমাজে অক্ষম ও প্রবীণ ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ বিষয়ক মিডিয়া ক্যাম্পেইন ও প্রাক বড়দিন উৎসব। ২২ ডিসেম্বর উক্ত ক্যাম্পেইনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশপ জের্ভাস রোজারিও। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য। এছাড়াও সরকারি, বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মিডিয়া প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে ড. আরোক টপ্য বলেন, অক্ষম বা প্রতিবন্ধী এবং প্রবীণ ব্যক্তিগণ পরিবার ও সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত। অনেক সময় আমরা তাদেরকে দেশের বোঝাও ভেবে থাকি। তবে আমাদের মধ্য থেকে এই ধারণা পরিবর্তন করা দরকার। কারিতাস অক্ষম এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের কথা সব সময় চিন্তা করে। আর তাই কারিতাসের কারর‌্যক্রমের মধ্যে অক্ষম ও প্রবীণ নাগরিকদের গুরুত্বের সাথে দেখা হয়।

‘অক্ষম বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা’ সমন্ধে আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের প্রফেসর ড. মুন্সি ইস্রায়েল হোসেন। তিনি তার আলোচনায় বিশ্বে ও বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অক্ষম বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বর্তমান অবস্থা, তাদের ঝুঁকি এবং উত্তোরণের উপায় বিষয় তুলে ধরেন।

এরপর অংশগ্রহণকারীগণ আলোচনার প্রেক্ষিতে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। অংশগ্রহণকারী উদয় আঞ্জেলো রোজারিও বলেন, অক্ষম ও প্রবীণদের প্রতি আমাদের পরিবার, সমাজ ও দেশের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক নয়। আমরা প্রত্যেকে যে একদিন প্রবীণের কাতারে গিয়ে দাঁড়াবো তা ভুলে যাই। এছাড়াও তিনি অক্ষম বা প্রতিবন্ধী হবার বাস্তব কারণ বিষয়েও মতামত ব্যক্ত করেন।

বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, অক্ষম ও প্রবীণ ব্যক্তিদের আমাদের পরিবারের জন্য আশীর্বাদ ভাবতে হবে। যিশু খ্রিস্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন শারিরীকভাবে অক্ষম ও দুর্বলদের সুস্থ্য ও সাহায্য করতে। আমরা যদি নিজেদেরকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মনে করি তাহলে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট সকল শ্রেণীর মানুষকে ভালবাসবো ও যত্ন করবো।

প্রাক বড়দিন উৎসব ‍উদযাপনে বড়দিনের আধ্যাত্মিকতা বিষয়ে ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারাণ্ডী বলেন,  ঈশ্বর যদি আসতেন, তিনি কি রাজপ্রাসাদে আসতে পারতেন না? কেন তিনি জন্ম নিলেন দরিদ্রের ঘরে, সমাজের প্রান্তে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরেই লুকিয়ে আছে বড়দিনের সামাজিক ও মানবিক বার্তা, যা এনজিও কর্মীদের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।

এরপর বড়দিনের নৃত্যনাট্য ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

 

Please follow and like us: