গত ২৫ অক্টোবর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে, কৃষ্ণবল্লভ ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মশিক্ষা ও আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর অনুষ্ঠিত হলো হস্তাপর্ণ সংস্কার। পূর্বে দুই বছর কৃষ্ণবল্লভ কোয়াজি ধর্মপল্লী হিসেবে ছিলো তবে খ্রিস্টভক্তদের প্রয়োজনে বিশপ মহোদয় আজ কৃষ্ণবল্লভ ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর এই ধর্মপল্লীর প্রথম পালপুরোহিত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে ফাদার পাত্রাস হাঁসদা। প্রবেশ সংস্কারের দ্বিতীয়টি হল হস্তাপর্ণ সংস্কার যার অর্থ হলো বলদায়ক বা শক্তিশালী করণ। হস্তাপর্ণ সংস্কারে আমাদের দীক্ষাস্নান ক্রিয়া বলশালী হয় বা পূর্ণতা লাভ করে। এই ধর্মপল্লীর ২৮টি গ্রাম থেকে ২০০ জন হস্তাপর্ণ সংস্কার গ্রহণ করে এবং এই হস্তাপর্ণ সংস্কার প্রদান করে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ জেভার্স রোজারিও তার সাথে আরো ছিলেন ২২ জন যাজক, ৭ জন সিস্টার ও ১ জন ব্রাদার। খ্রিস্টযাগের উপদেশে হস্তাপর্ণ প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশপ মহোদয় বলেন, এই হস্তাপর্ণ সংস্কার গ্রহন করার মধ্য দিয়ে আমরা পবিত্র আত্নাকে লাভ করি এবং একেক জন খ্রিস্টের সৈনিক হয়ে উঠি। এই পবিত্র আত্না আমাদের অন্তরে একটা সিলমহর একেদেয় আর এই সিলমহরের কারণে আমরা প্রত্যেকেই খ্রিস্টের সৈনিক হয়ে উঠব। এই সৈনিকের কাজ হবে শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা, যাতে করে আমরা আমাদের জীবনে পূর্ণতা লাভ করতে পারি। অন্যদিকে আমরা যারা মন্ডলীর খ্রিস্টভক্ত আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জন্য প্রার্থনা করা, যাতে করে তারা যেন পবিত্র থেকে খ্রিস্টের ন্যায় জীবন যাপন করতে পারে। কৃষ্ণবল্লভ ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠা ও হস্তাপর্ণ সংস্কার অনুষ্ঠানে প্রায় দুইহাজার খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলো।
কৃষ্ণবল্লভ ধর্মপল্লী প্রতিষ্ঠা ও হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান
Please follow and like us: