গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রোজ শনিবার মারীয়াবাদ ধর্মপল্লী, বোর্ণীতে বড় দিন বা প্রভু যিশুর জন্মাতিথি পালনের প্রস্তুতি হিসেবে ৯ দিন পবিত্র খ্রিস্টযাগের পর ‘নভেনা প্রার্থনা’ করা হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিদিন পবিত্র খ্রিস্টযাগ ও নভেনা প্রার্থনার পর গোশালা ঘর অংকন প্রতিযোগিতা হয়। এতে শিশু শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ৭৫ জন ছেলেমেয়ে অংশগ্রহণ করে।
নভেনার শেষ দিনে যারা যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে তাদেরকে পুরস্কার দেওয়া হয় এবং অংশগ্রহণকারী সবাইকে সান্ত¡না পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত ছিলেন মারীয়াবাদ ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার সুশান্ত ডি’কস্তা, সহ-পুরোহিতদ্বয় ফাদার যোহন মিন্টু রায় ও ফাদার অনিল মারান্ডী, পালকীয় পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মি. সুশীল রোজারিও এবং সিষ্টারস অব চ্যারিটি সিষ্টারগণ। পাল-পুরোহিত ফাদার সুশান্ত ডি’কস্তা বলেন, “এ প্রতিযোগিতা ও শিশুদের উৎসাহ দেখে আমি খুশী। এ ধরণের শুভ উদ্যোগ চলমান থাকবে বলে আশা করি। সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।”

সপ্তম শ্রেণীর অংকিতা রোজারিও অনুভূতি ব্যক্ত করে বলে, “এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। এবারের বড়দিন আমার কাছে হয়ে উঠেছে আরো আনন্দময়।”

অর্পন মাহাত্ম বলে, “আমি অংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ও সেবক হয়ে ভাল লাগছে, আনন্দ লাগছে।” একজন অভিভাবক বলেন, “এমন শুভ উদ্যোগ যেন চলমান থাকে।”

পালকীয় পরিষদের ভাইস- চেয়ারম্যান মি. সুশীল রোজারিও বলেন, “ আমি তোমাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই যে, তোমরা প্রতিদিন খ্রিস্টযাগে ও নভেনা প্রার্থনা করতে কষ্ট করে এসেছো। আর আমাদের সবাইকে আনন্দ দিয়েছো এবং এই উৎসাহ যেন সবসময় তোমাদের মধ্যে থাকে। ”

পরিশেষে ফাদার যোহন মিন্টু রায় বলেন, “অংকন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশু যিশু, গোশালা অংকন করতে করতে শিশুরা যেন যিশুর স্পর্শ পায়, অংকনের আনন্দে যেন নভেনার খ্রিস্টযাগে উপস্থিত হয়। আর তা অনেকটাই সত্য হয়েছে। পুরস্কারের চেয়ে এখানে বড় আনন্দ খ্রিস্টযাগ ও নভেনায় অংশগ্রহণ ও বড়াদিনের প্রকৃত আনন্দ লাভ। এ প্রচেষ্টা চলমান থাকবে বলে আশা রাখি। ”

রিপোর্টার : ফাদার যোহন মিন্টু রায় ও ফাদার অনিল মারান্ডী, বোর্ণী ধর্মপল্লী।

 

Please follow and like us: