গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রোজ শুক্রবার, বোর্ণী ধর্মপল্লীতে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত প্যারিশ কাউন্সিলের সদস্য, ব্লক মেম্বার, শিক্ষক প্রতিনিধি ও সংঘ -সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে সিনোডাল মণ্ডলিঃ খ্রিস্টবিশ্বাসের দায়িত্ব- মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণ’- মূলসুরের উপর সারাদিনব্যাপী ধর্মপল্লীর পর্যায়ে পালকীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৫০জন অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র খ্রিস্টযাগের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়।
খ্রিস্টযাগের পর পাল-পুরোহিত ফাদার সুশান্ত ডি কস্তা স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে সম্মেলনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যসমূহ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ধর্মপল্লীর জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। মিলনের মধ্য দিয়েই আমরা খ্রিস্টবিশ্বাসের দায়িত্বকে আরও ফলপ্রসূ করতে পারি।’
মূলভাবের উপর সহভাগিতায় শ্রদ্ধেয় ফাদার মিন্টু রায় বলেন, ‘খ্রিস্টভক্তদেরই দায়িত্ব হলো নিয়মিত গির্জা-উপাসনায় যোগদান, পারিবারিক প্রার্থনা, ধর্মপল্লীর বিভিন্ন সেবাকাজে অংশ নেওয়া, সন্তানদের ধর্মশিক্ষা ও নৈতিক গঠন দিয়ে মানুষ করা, ইত্যাদি কাজের পাশাপাশি দরিদ্র মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।’
মূলভাবের উপর সহভাগিতায় শ্রদ্ধেয় ফাদার দিলীপ এস কস্তা বলেন ‘খ্রিস্টবিশ্বাসী সবাই যিশুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ও পিতা, পুত্র, পবিত্র আত্মার নামে দীক্ষিত হয়ে মণ্ডলির সদস্য হন। মণ্ডলিতে সকলেরই সমান অধিকার ও দায়িত্ব। কেউ বড় নয়, কেউ ছোটও নয়, বরং সকলেই সমান কারণ খ্রিস্টই আমাদের সমান মর্যাদা দিয়েছেন- এক করে তুলেছেন।আমরা যে শুধু মণ্ডলির সদস্য, তা-নয় বরং আমরাই মণ্ডলি অর্থাৎ আমাদের নিয়েই মণ্ডলি। মণ্ডলিতে সকল সদস্যই সমান অর্থাৎ সমান মর্যাদা ও সকলেরই নিজ নিজ দায়িত্বও রয়েছে। আর খ্রিস্টভক্তগণের কাজ হলো মণ্ডলির বৈষয়িক বিষয়গুলি দেখা। আদি মণ্ডলির খ্রিস্টভক্তদের পথ অনুুসরণ করাই বর্তমান খ্রিস্টভক্তদের আহ্বান এবং সঙ্গে সঙ্গে সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করা।’
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মিঃ সুশীল রোজারিও বলেন, ‘খ্রিস্টভক্তগণ হিসেবে আমাদের কাজ হলো মণ্ডলির সকল কাজে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করা।’
মিসেস লাভলী ডি কস্তা বলেন, ‘ সিনোডাল মণ্ডলির বিষয়ে আমরা আজকে অনেক কিছু জেনেছি আর অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা প্রার্থনা, ধ্যান, উপাসনা পরিচালনা ও গির্জার সেবাকাজে আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবো’।
এরপর দলীয় আলোচনা ও সুচিন্তিত মতামতের মধ্য দিয়ে ধর্মপল্লীর জন্য পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়। শেষে পাল-পুরোহিতের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও দুপুরের আহারের মধ্য দিয়ে পালকীয় সম্মেলনের পরিসমাপ্তি হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন