সংবাদদাতা: ডানিয়েল লর্ড রোজারিও 

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত মুশরইল সাধু পিতরের ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো নবান্ন উৎসব। ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উৎসবে ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার প্রশান্ত আইন্দ, সেমিনারির পরিচালক ফাদার বিশ্বনাথ মারাণ্ডীসহ ২ জন সিস্টার, সেমিনারিয়ান ও বিভিন্ন গ্রামের ১৯৩ জন খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন। এদিন সকাল থেকেই খ্রিস্টভক্তগণ তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার চিহ্নস্বরূপ নতুন ধানের নানা পিঠা ঈশ্বরকে দান করার উদ্দেশ্য গির্জায় নিয়ে আসেন। নবান্ন উৎসব শুরু হয় খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে। খ্রিস্টযাগে পৌরোহিত্য করেন পাল পুরোহিত ফাদার প্রশান্ত আইন্দ এবং সহার্পিত খ্রিস্টযাগে অংশ নেন ফাদার বিশ্বনাথ মারাণ্ডী।

ফাদার প্রশান্ত আইন্দ উপদেশে বলেন, আজ আমরা আমাদের ধর্মপল্লীতে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করছি। যদিও এ পর্বটি খ্রিস্টরাজার পর্বদিনে পালন করা হয় তবে আমাদের ধর্মপ্রদেশে যাজকীয় অভিষেক ও অন্যান্য অনুষ্ঠান থাকায় আমরা আজকে করছি। নবান্ন উৎসব হলো নব+ অন্ন অর্থাৎ নতুন ধানের উৎসব। সারাবছর ঈশ্বর আমাদের নানা আশীর্বাদে সহায়তা করেন তাই নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা ঈশ্বরের ধন্যবাদ ও মহিমা ঘোষণা করি। আমাদের যা আছে আমরা তা দিয়েই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই ঈশ্বর এতেই খুশি হন।

খ্রিস্টযাগের পরে খ্রিস্টভক্তদের নিয়ে আসা ভালোবাসার দানসামগ্রী আশীর্বাদ করা হয়। এ সময় ফাদার বিশ্বনাথ মারাণ্ডী বলেন, নবান্ন উৎসব আমাদের সকলকে একত্রিত করে যা একটি আনন্দোৎসবে রুপ নেয়। আসুন আমরা ঈশ্বরের শত আশীর্বাদ ও অনুগ্রহের জন্য আজকের দিনে তাকে ধন্যবাদ জানাই।

ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্ত প্রদীপ মুর্মু তার অনুভূতি প্রকাশ করে  বলেন, আজকে আমি অনেক আনন্দিত কারণ অনেক বছর পর এভাবে আমরা নবান্ন উৎসব উদযাপন করছি। নতুন ধান কাটা,মরাই করা এবং ঈশ্বরের চরণে নিবেদন করতে পারা এটা সত্যিই আনন্দের।

Please follow and like us: