ফাদার সুনীল রোজারিও- DX-er– রাজশাহী সিটি
আধুনিক বিশ্বে, যেখানে প্রযুক্তি উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে গেছে, যেখানে গণমাধ্যম ও সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর কলাকৌশল প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, উন্নত হচ্ছে এবং আরো আকর্ষণীয় হচ্ছে- সেখানে রেডিওর সম্প্রচার শতাব্দি ধরে নানা হুমকিধমকী মোকাবেলা করে আপন মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। নতুন নতুন সম্প্রচার মাধ্যম সম্প্রচারে আসার পর মানুষ রেডিও সর্ম্পকে ভিন্ন কথা বললেও- রেডিও তার অসাধারণ শক্তি নিয়ে আজও গণমাধ্যম জগতে সবার উপরে আসন ধরে আছে।
এ জনপ্রিয়তার বহুবিধ কারণের মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হলো, সম্প্রচার ব্যয় কম, বেতারের দাম সব শ্রেণির মানুষের নাগালের মধ্যে, ঘরে ঘরে সিগন্যাল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোনো ক্যাবল বা তারের প্রয়োজন হয় না, রেডিও সেট হাটে, ঘাটে, খাল ও বিলে সর্বত্র বহনযোগ্য এবং তাৎক্ষণিকভাবে খবর সংগ্রহ ও অসংখ্য ষ্টেশন রয়েছে।
প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে এ বেতার দিবস পালনের ইতিহাস খুব দীর্ঘ দিনের নয়। স্পেন সর্বপ্রথম ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো বরাবর আন্তর্জাতিকভাবে বেতার দিবস পালনের আবেদন পাঠিয়েছিলো। পরের বছর নভেম্বর মাসে স্পেনের প্রস্তাবটি ইউনেস্কো সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলো কর্তৃক সমর্থন লাভ করেছিলো। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনের ৩৬তম অধিবেশনে- ১৩ ফ্রেব্রুয়ারিকে বিশ্ব বেতার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি বাছাই করার কারণ হলো- এ তারিখটি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্প্রচার পরিষেবার তারিখ ছিলো। জাতিসংঘের এ সম্প্রচার কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে। সেই ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিনটি বেতার প্রেমিক ও ডিএক্সারদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। চলতি বছর বিশ্ব বেতার দিবসের মূল বার্তা হলো “রেডিও ও জলবায়ু পরিবর্তন”।
চলতি বছরের মূলবাণী থেকেই অনুমান করা যায়- বেতার তার শ্রোতাদের কাছে কী বলতে ব্যাকুল। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বে যে পরিবেশ দূষণ তৈরি হয়েছে- এগুলো থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে রেডিও কী ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে- সে দিকে শ্রোতাদের নজর বাড়াতে বেতারের এ আহ্বান। এ পরিবেশ দূষণ প্রকৃতির বৈরীতার কারণে নয়- কিন্তু মানুষের তৈরি দূষণের কারণে প্রকৃতি এখন বৈরী আচরণ করছে। মানুষ তার স্বার্থকে রক্ষা করতে গিয়ে পরিবেশ বিনাশ করছে। সুতরাং, বিশ্ব বেতার দিবসের মূলসুর বলতে চায়- মানুষের স্বার্থে যা বিনাশ হচ্ছে, একমাত্র মানুষই তা আগমীদিনের স্বার্থে মেরামত করে দূষণমুক্ত করতে পারে।
২০২৫ খ্রিস্টাব্দের বিশ্ব বেতার দিবস তার মূলবাণী “রেডিও এবং জলবায়ু পরিবর্তন” বিশ্ববাসীর অন্তর সচেতন করে তুলুক- যেনো সবাই ধরিত্রীমাতাকে রক্ষা করার জন্যে এগিয়ে আসেন। বেতার শ্রোতাদের প্রতি রইলো আমার শুভেচ্ছা।
What is DX or what is DX-ing or Who are DX-er
Primary meaning of DX is “Distance Extreme.” DXing, taken from DX, the telegraphic shorthand for “distance” or “distant” is the hobby of receiving and identifying distant radio signals, or making two-way radio contact with distant stations in amateur radio, citizens band radio or other two-way radio communications. Many DXers also attempt to obtain written verifications of reception or contact, sometimes referred to as “QSLs“.
The practice of DXing arose during the early days of radio broadcasting. Listeners would mail “reception reports” to radio broadcasting stations in hopes of getting a written acknowledgement or a QSL card that served to officially verify they had heard a distant station. Collecting these cards became popular with radio listeners in the 1920s and 1930s, and reception reports were often used by early broadcasters to gauge the effectiveness of their transmissions. Although international shortwave broadcasts are on the decline, DXing remains popular among dedicated shortwave listeners. The pursuit of two-way contact between distant amateur radio operators is also a significant activity within the amateur radio hobby. I wish all my DX-er and Listeners Friends- Let us work together to save our Mother World from extreme ruin.
FATHER SUNIL ROZARO, DX-er, DX City- Rajshahi.