সংবাদদাতা: বেনেডিক্ট তুষার বিশ্বাস
“হৃদয়ে নতুন চেতনা এবং অনুপ্রেরণা নিয়ে ওয়াইসিএসের ধারণা গ্রহণ করি” মূলভাবের আলোকে আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ওয়াইসিএস দিবস। ৩ থেকে ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ওয়াইসিএস দিবসে ধর্মপল্লীর ফাদার, সিস্টার, যুব কমিশনের ভলেন্টিয়ার ও এনিমেটরসহ বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে মোট ১৫৮জন ওয়াইসিএসের ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
উদ্বোধনী খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার উইলিয়াম মুরমু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কাথলিক ধর্মপ্রদেশের চ্যান্সেলর এবং আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার প্রেমু তার্সিসিউস রোজারিও, যুব কমিশনের যুব সমন্বয়কারী ফাদার শ্যামল জেমস্ গমেজ, ফাদার ডেভিড পিটার পালমা, ডিকন সনেট কস্তা। ফাদার উইলিয়াম মুরমু উপদেশে বলেন, যুবক-যুবতীরা হলো মণ্ডলীর ভবিষ্যৎ; আর শিশুকাল থেকেই বিভিন্নভাবে তাদের প্রস্তুত করা হচ্ছে, ওয়াইসিএস হচ্ছে সেটারই একটি উদাহারণ। দ্বিতীয় দিনে আনন্দর্যালি, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, যুব কমিশনের পতাকা এবং রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ওয়াইসিএসের পতাকা উত্তোলন ও লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে দিনটির শুভ সূচনা হয়।
ওয়াইসিএস দিবসটিকে কেন্দ্র করে বিষয়ভিত্তিক সহভাগিতা, ওয়াইসিএস’র ওপর ধারণা, ওয়াইসিএসের থিম সং এর উপর ধর্মপল্লীভিত্তিক একশন প্রতিযোগীতা, সেল মিটিং এবং ধর্মপল্লীতে ফিরে কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ, বাইবেলীয় ঘটনার আলোকে দলীয় নাটক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াইসিএস দিবসের সমাপনী খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন রাজশাহী ধর্মপদেশের চ্যান্সেলর ফাদার প্রেমু তার্সিসিউস রোজারিও। তিনি উপদেশে বলেন, আমাদের ধর্মপ্রদেশের প্রত্যকটি ধর্মপল্লীতে ওয়াইসিএস মুভমেন্ট আরও সক্রিয় ও প্রাণবন্ত করে তুলতে প্রত্যেক ওয়াইসিএস সদস্য-সদস্যার দায়িত্ব রয়েছে। একে অপরকে সাহায্য-সহযোগীতার মাধ্যমে সবার মাঝে ওয়াইসিএসের চেতনা ও অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দিতে পারলেই আমাদের এ মুভমেন্টকে আরও প্রাণবন্ত করা সম্ভব; আমি আশা করি তোমরা তা অবশ্যই পারবে।
অংশগ্রহণকারী দুর্জয় মিঞ্জ বলে, আমি প্রথম ওয়াইসিএস দিবসে অংশগ্রহণ করেছি এবং সত্যিকার অর্থে এটা অনুভব করেছি যে, আমি এ মুভমেন্ট সম্পর্কে যতটুকু আগে জেনেছি বা জানতাম ওয়াইসিএস মুভমেন্ট তার থেকেও একটি বিশাল পরিসরে ব্যাপৃত।