সিসিডিবি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ক্লাইমেট সেন্টারে আমরা শুধু অভিজ্ঞতা করতে আসিনি পাশাপাশি শিখতেও এসেছি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিশপীয় ন্যায় ও শান্তি বিষয়ক কমিশনের সভাপতি বিশপ জের্ভাস রোজারিও। ৮ মার্চ বাংলাদেশের আটটি ধর্মপ্রদেশ থেকে আগত ন্যায় ও শান্তি কমিশনের সদস্য-সদস্যাদের উপস্থিতিতে গাজীপুরে সিসিডিবির ক্লাইমেট সেন্টার ভ্রমণকালে বিশপ এই কথা বলেন।

গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে সিসিডিবি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ক্লাইমেট সেন্টার বাংলাদেশের মধ্যে একটি অনন্য প্রাকৃতিক পরিবেশবেষ্টিত গবেষণাকেন্দ্র; যেখানে পরিবেশকে স্ববস্থা ও সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের সমুদ্রতীরাঞ্চল, শুষ্কাঞ্চল, হাওরাঞ্চল, চরাঞ্চলের পরিবেশ ও জলবায়ু সৃষ্টি করে গবেষণাবলদ্ধ উপায়ে এলাকাভেদে ফসলি আবাদ ও প্রাকৃতিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নির্দিষ্ট দিনে সকাল সাতটায় ঢাকার আসাদগেটের সিবিসিবি সেন্টার থেকে ২৯ জন সদস্য-সদস্যার যাত্রা শুরু হয়।

সেন্টারে পৌঁচ্ছে উষ্ণাভর্থনা এবং ডিজিটাল প্রজেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশব্যাপী সিসিডিবির কার্যাবলীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর ক্লাইমেট সেন্টারের আদ্যপ্রান্ত অভিজ্ঞতা এবং একসাথে ক্রুশের পথ করা হয়। দুপুরের আহারের পর ছিলো পরিবেশ ও জলবায়ুর পরিবর্তন রোধে ব্যক্তিগত ও ধর্মপ্রদেশভিত্তিক বিগত বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সারাদিনের কার্যক্রমের মূল্যায়ন। চট্রগ্রাম ধর্মপ্রদেশ থেকে আগত জর্জ ত্রিপুরা বলেন, ‘আমি আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে জলবায়ু ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সকল কার্যক্রম রোধের জন্য কাজ করছি। বিশেষ করে বাজার করার সময় পলিথিন বর্জন, ঘরের বারান্দায় ছোট ছোট বৃক্ষরোপণ, অযথা পানি ও বিদ্যুতের অপচয় রোধে সচেষ্ট আছি’।

পরিশেষে, বিশপীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশনের সেক্রেটারী ফাদার লিটন গমেজ, সিএসসি’র উদ্যোগে নটর ডেম কলেজ থেকে আনা দুটি নাগলিঙ্গম গাছ ক্লাইমেট সেন্টারে রোপণ করা হয়।

বরেন্দ্রদূত সংবাদ : ফাদার সাগর কোড়াইয়া (আহ্বায়ক, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় ন্যায় ও শান্তি কমিশন)

Please follow and like us: