সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে প্যারিশ সদস্য, মাঞ্জহি (গ্রাম প্রধান) ও প্রার্থনা পরিচালকদের উপস্থিতিতে বাৎসরিক পালকীয় সম্মেলন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ মার্চ সভায় পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ কস্তা স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘ধর্মপল্লীর প্রাণ হচ্ছেন ভক্তজনগণ। আর ভক্তজনগণের আধ্যাত্মিক ও বৈষয়িক পরিচালনার জন্য বিশপ মহোদয় যাজককে ধর্মপল্লীতে প্রেরণ করেন। আর সে ক্ষেত্রে জনগণেরও ফাদারকে সহায়তা করা উচিত।’ এছাড়াও উক্ত সভায় ফাদার উইলিয়াম মুর্মু, ফাদার সাগর কোড়াইয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট নরেন টুডু।

ফাদার উইলিয়াম মুর্মু ‘ধর্মপল্লী ও গ্রামে প্যারিশ সদস্য, মাঞ্জহি এবং প্রার্থনা পরিচালকদের খ্রিস্টীয় নেতৃত্ব ও সেবা’ মূলভাবের ওপর আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘মাঞ্জহি, প্যারিশ সদস্য এবং প্রার্থনা পরিচালকদের গ্রাম ও ধর্মপল্লী পরিচালনার কাজে ব্যাপক দায়িত্ব রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই একেকজন নেতা; তবে লক্ষ্য যেন থাকে যিশু নেতার জীবনাদর্শে নেতৃত্ব প্রদান।’

সভায় বিগত পালকীয় সম্মেলনে গৃহীত সিধান্তসমূহ সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেবার পাশাপাশি গ্রামে প্রার্থনা পরিচালকদের নানাবিধ দায়িত্বের বিষয়ও উঠে আসে।

এডভোকেট নরেন টুডু বলেন, ‘বিশ্বাসী খ্রিস্টভক্ত হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হচ্ছে খ্রিস্টবিশ্বাস চর্চা করা। আর সে চর্চা একজন যাজকবিহীন কখনোই সম্ভব নয়। তাই ধর্মপল্লীর যে কোন কাজে যাজককে সহায়তা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ খ্রিস্টবিশ্বাসীদের নিয়েই একজন যাজকের পরিবার।’

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ক্যারোলিনা মুর্মু

Please follow and like us: