বরিশাল ধর্মপ্রদেশের বিশপ ও ফাদারদের আগমনে ফৈলজানা ধর্মপল্লী আর্শিবাদিত

গত ২রা এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রোজ মঙ্গলবার ফৈলজানা সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার ধর্মপল্লীর জন্য ছিল এক অতি আনন্দের ও আর্শিবাদের দিন। কারণ বরিশাল ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ ইম্মানুয়েল কানন রোজারিও সহ বরিশাল ধর্মপ্রদেশের আরো ১৬ জন যাজক ফৈলজানা ধর্মপল্লী ও পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয়ের পিতৃগৃহ পরির্দশনের জন্য আসেন। আরো আনন্দের বিষয় এই যে বিশপ মহোদয় ও তার সফর সঙ্গী যাজকবর্গ পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করে, যেখানে ফৈলজানা ধর্মপল্লীর যাজক, রিজেন্ট, এসএমআরএ সিস্টার সহ খ্রিস্টভক্তগণও অংশগ্রহণ করেন।

বিশপ মহোদয় তার উপদেশ বাণীতে বলেন, প্রভু যিশুর পুনরুত্থান আমাদের জন্য আশা ও আনন্দের গভীর আধ্যাত্মিক অর্থ বহন করে, যাতে আমরাও একদিন সেই আনন্দের অংশীদারী হতে পারি। তিনি আরো বলেন, আমরাও যেন মাগ্দালার মারিয়ার মতো যিশুকে আঁকড়ে ধরে জীবন পথে এগিয়ে যেতে পারি

পবিত্র খ্রিস্টযাগের পরপরই পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ ও যাজকদের ফুল ও গানের মধ্যদিয়ে ফৈলজানা ধর্মপল্লীতে স্বাগত জানানো হয়। স্বাগত বাণীতে পাল-পুরোহিত ফাদার এ্যাপোলো লেনার্ড রোজারিও, সিএসসি বলেন, বিশপ মহোদয় ও যাজকদের এই আগমন আমাদের কাছে প্রকাশ করে যে, আমরা প্রভুর মুক্তিদায়ী কাজে সবাই একে অন্যের পাশে আছি ও থাকার চেষ্ঠা করবো । অতঃপর দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য কিছু স্থির চিত্র ধারণ করা হয়।

নেংড়ী উপকেন্দ্রে মহাসমারোহে ধন্য ফাদার বাসিল আন্তনী মরোর পর্ব পালন

১ লা এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রোজ সোমবার, সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার ধর্মপল্লী, ফৈলজানা’র উপকেন্দ্র নেংড়ী গ্রাম ও চ্যাপেলের প্রতিপালক ধন্য ফাদার বাসিল আন্তনী মেরী মরোর পর্ব পালন করা হয়। দীর্ঘ নয় দিনের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির পর গত ১লা এপ্রিল বিপুল সংখক খ্রিস্টভক্তের উপস্থিতিতে পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে ধন্য ফাদার মরোর মধ্যস্থতায় ঈশ্বরের কাছে নেংড়ী গ্রাম ও ফৈলজানা ধর্মপল্লীর সকল খ্রিস্টীয় পরিবারের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

পবিত্র খ্রিস্টযাগে পুরোহিত্য করেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার এ্যাপোলো লেনার্ড রোজারিও, সিএসসি এবং উপদেশ বাণী রাখেন মরো সেমিনারীর পরিচালক ফাদার আনন্দ মন্ডল, সিএসসি। খ্রিস্টযাগের প্রারম্ভে সেমিনারীয়ান নিকোলাস ঘরামী, সিএসসি ধন্য ফাদার মরোর জীবনে ওপর সহভাগিতা করেন।

ফাদার আনন্দ তার উপদেশ বাণীতে বলেন, আমরা ফাদার মরোর জীবন থেকে শিখতে পারি কিভাবে জীবনের চরম ও কঠিন মুহুর্তে ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল থাকা যায়। তিনি আরো বলেন, যে পরিবার বা সমাজ যিশুতে ভরসা রেখে পরিচালিত হয় সেই পরিবার বা সমাজে সর্বদাই স্বর্গীয় সুখ ও শান্তি বিদ্যমান থাকে।

উক্ত অনুষ্ঠানে ২ জন যাজক ৪ জন সেমিনারীয়ান ২ জন এসএমআরএ সিস্টার সহ প্রায় ৩০০ জন খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন।

খ্রিস্টযাগের পরপর নেংড়ী গ্রামবাসীর সহযোগিতায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অতঃপর মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্য দিয়ে পর্বের সমাপ্তি হয়।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : নিকোলাস ঘরামী

Please follow and like us: