“ চলো যাই তীর্থে, যিশুর সাথে ঘুরতে ” এই মূলসুর নিয়ে গত ৬ এপ্রিল মুশরইল ধর্মপল্লী ও সেমিনারির উদ্যোগে আনন্দ ভ্রমণ ও তীর্থযাত্রা  হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন মুশরইল ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রশান্ত আইন্দ, সেমিনারির পরিচালক ফাদার শ্যামল গমেজ, আধ্যাত্মিক পরিচালক ফাদার অনিল মারান্ডী, দুইজন সিস্টার, সেমিনারিয়ানবৃন্দ ও যুবক- যুবতীসহ মোট ৫৮ জন।

যাত্রার শুরুতে মা- মারিয়ার কাছে প্রার্থনা ও আশির্বাদ যাচনা করে ফাদার প্রশান্ত আইন্দ বলেন, “আজকে আমরা মুশরইল ধর্মপল্লী ও সেমিনারির সকলে মিলে আনন্দ ভ্রমণে যাচ্ছি। পাস্কার পরে আমরা সবাই একসাথে কিছু সময় কাটাব। যাত্রাপথে আমরা সকলে যেন একসাথে পথ চলতে পারি। আর এই ভ্রমণের মুলসুর হলো ‘চলো যাই তীর্থে, যীশুর সাথে ঘুরতে’। তাহলে আমরা যিশুর সাথে ঘুরতে যাচ্ছি এবং যিশুর সাথে যাত্রা করব”।

সকাল ৭.০০ টায় রওনা হয়ে প্রথমে লালপুর গ্রীনভেলী পার্কে একসাথে গান- বাজনা, নাচ এবং সৌন্দর্য অনুভব করে দুপুরে বনপাড়া সাধু পোপ ষষ্ঠ পল সেমিনারিতে সকলে দুপুরের আহার গ্রহণ করে। পরে বনপাড়া ধর্মপল্লীর প্রতিপালিকা লূর্দের রাণী মারিয়ার প্রতিমূর্তি ও গির্জা পরিদর্শন করা হয়। বিকালে মহিপাড়া ধর্মপল্লীর তীর্থস্থান পরিদর্শন ও প্রার্থনা করা হয়।

মহিপাড়া ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার সুব্রত পিউরীফিকেশন বলেন, “তোমরা এসেছ, তাই আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তোমরা যারা সেমিনারিতে রয়েছ তোমরা তোমাদের জীবন লক্ষ্যে এগিয়ে যাও; কারণ ভবিষ্যতে তোমাদেরকেই ধর্মপল্লীগুলোর দায়িত্ব নিতে হবে। সবাইকে সাধু আন্তনীর ধর্মপল্লী মহিপাড়াতে জানাই স্বাগতম”।

আনন্দ ভ্রমণ ও তীর্থযাত্রা শেষে রাত ৮.০০ টার সময় ধর্মপল্লীতে পৌঁছে ছোট প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে, পরিচালক ফাদার শ্যামল গমেজ বলেন, ” আমরা একসাথে সকাল থেকে এই পর্যন্ত যাত্রা করেছি, অনেক আনন্দ করেছি তাই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই। তোমরা যুবক-যুবতীরা ধর্মপল্লীর কাজে এগিয়ে আসবে এবং সাহায্য করবে। সবাইকে ধন্যবাদ “।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : লর্ড রোজারিও 

Please follow and like us: