প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রার্থনাপূর্ণ পরিবেশে ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে বনপাড়া ধর্মপল্লীর অন্তর্গত কুমরুল গ্রামের গির্জার প্রতিপালক সাধু যোসেফের পর্ব পালন করা হয়। পর্বের প্রস্তুতিস্বরুপ তিনদিনব্যাপী নভেনা করা প্রার্থনা করা হয়। পর্বীয় খ্রিস্টযাগে পুরোহিত্য করেন শ্রদ্ধেয় ফাদার দিলীপ এস. কস্তা। সহার্পিত খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন ফাদার পিউস গমেজ ও ফাদার রোহিত মৃ এস. জে. এবং প্রায় ১,২০০ জন খ্রিস্টভক্তগণ উপস্থিতি ছিলেন।
কুমরুল গ্রামটি শতবর্ষ ধরে খ্রিস্টবিশ্বাসের সাক্ষ্য বহন করছে। রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের আন্ধারকোঠায় ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে এবং মুলাডুলিতে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে দীক্ষা লাভ করে। পাহাড়িয়া খ্রিস্টান ভাই-বোন দীক্ষা লাভের মধ্য দিয়ে বিশ্বাস টাইটেলটি সকলে গ্রহণ করেছে।
শ্রদ্ধেয় ফাদার দিলীপ এস. কস্তা তাঁর উপদেশ বাণীতে বলেন, “সাধু যোসেফ ছাড়া কি আর কোন সাধু আছেন যার জীবন ধ্যান করে একজন পুরোহিত এমন পবিত্রতা, বাধ্যতা ও স্নেহময় পিতার আদর্শ পেতে পারেন? সাধু যোসেফের কাছ থেকেই পরিবারের একজন পিতা বিশ্বস্তভাবে দায়িত্ব পালনের আদর্শ গ্রহণ করতে ও তাঁকে অনুসরণ করতে পারেন”। খ্রিস্টমণ্ডলিতে কিছু কিছু সাধু সাধ্বী রয়েছেন যারা জ্ঞানী, ধ্যানী, ত্যাগী, গুণী (সাধু আগষ্টিন, ফ্রান্সিস দ্য সালস্ , থোমাস আকুইনাস, আভিলার সাধ্বী তেরেজা, পোপ দ্বিতীয় জন পল, মাদার তেরেজা) তাঁদের মতো হয়ে ওটা অনেকেরই সম্ভাবনা কিন্তু সহজ-সরল ও বিশ্বাসী সাধু-সাধ্বীদের জীবনাদর্শ অনুকরণ করে ধার্মিক ও সাধু হওয়া যায়। তিনি তার উপদেশে আরোও বলেন, “আমাদের জীবনের মৌলিক আহবান হলো সৎ ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া। সাধু যোসেফের পর্ব উদযাপনের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রত্যেকের হৃদয় মন কর্মনিষ্ঠ ও ধর্মনিষ্ঠ মানুষ হওয়ার প্রচেষ্টা জাগরিত হোক”।
খ্রিস্টযাগ শেষে সহ-পালপুরোহিত ফাদার পিউস গমেজ সকলকে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরিশেষে, মধ্যাহ্ন ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।
বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : পিতর হেম্ব্রম