গত ১৯ মার্চ সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী রহনপুরে মহাসমারোহে সাধু যোসেফের পর্ব এবং তীর্থোৎসব উদযাপন করা হয়। পর্বীয় ও তীর্থোৎসবে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল পরশ শ্রদ্ধেয় বিশপ জের্ভাস রোজারিও। সহার্পিত খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন পাল-পুরোহিত ফাদার বার্ণার্ড রোজারিওসহ আরও ৫ জন যাজক। একই দিনে ধর্মপল্লীর ২২০ জনকে হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান করা হয়।

সাধু যোসেফের তীর্থোৎসবকে কেন্দ্র করে ৯ দিন ব্যাপী নভেনা খ্রিস্টযাগ ও পাপস্বীকার সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। উক্ত নভেনা খ্রিস্টযাগে সাধু যোসেফের মধ্যস্থতায় বিশেষ আশির্বাদ লাভ করার জন্য দলে দলে সাধু যোসেফের ভক্তগণ অংশগ্রহণ করেন।

১৮ মার্চ সন্ধ্যায় সাধু যোসেফর মূর্তি সহযোগে আলোর শোভাযাত্রা ও সাধু যোসেফের রোজারিমালা প্রার্থনা করা হয়। এই সময় নয়টি স্থানে সাধু যোসেফর গুণকীর্তন করা হয়। ১৯ মার্চ সকালে ক্রুশের পথ করা হয় এবং যথারীতি পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হয়।

খ্রিস্টযাগে উপদেশ বাণীতে পরম শ্রদ্ধেয় বিশপ মহোদয় বলেন, “সাধু যোসেফ হলেন আমাদের পালক পিতা। তিনি সকল পিতার আদর্শ। তার অনেক গুণাবলি রয়েছে। বিশেষ করে পবিত্র পরিবার গঠনে, পালনে ও রক্ষণে তিনি আমাদের কাছে মহান আদর্শ। আমরাও যেন সাধু যোসেফর মত সহজ, সরল ও পবিত্র জীবন-যাপন করি”।

তীর্থোৎসবে উপস্থিত শরৎ বারোয়ার বলেন, “আমি সাধু যোসেফের ভক্ত। সাধু যোসেফের গুণগুলো আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দান করে। আমি সাধু যোসেফের কাছে প্রার্থনা করেছি যেন আমিও তার মত আদর্শ পিতা হতে পারি এবং আমার সন্তানদের খ্রিস্টীয় আদর্শে মানুষ করতে পারি।

সেলেস্তিনা টুডু বলেন, “আমি সাধু যোসেফের কাছে প্রার্থনা করেছি আমার স্বামী যেন সাধু যোসেফের মত হতে পারে।”

খ্রিস্টযাগের শেষে শ্রদ্ধেয় পাল-পুরোহিত সকলকে এই তীর্থোৎসবে যোগদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বরেন্দ্রদূত রিপোর্টার : ফাদার যোয়াকিম হেম্ব্রম

Please follow and like us: